বাংলাদেশের সাবেক কোচ এখন নেপালের দায়িত্বে

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সর্বোচ্চ সফলতাটা এসেছে ২০১২ সালের এশিয়া কাপে। সেই সময় টাইগারদের কোচ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্টুয়ার্ট ল। বাংলাদেশে জীবন উপভোগ না করায়, দায়িত্ব গ্রহণের বছর না ঘুরতেই, চাকরি ছাড়েন ল।
এরপর অবশ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের জাত চিনিয়েছেন ল। কোচিং করিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের মতো দলের, সফলতাও এনে দিয়েছেন। তবে প্রোফাইলটা আর ভারী করতে পারেননি এই অজি কোচ। সবশেষ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কোচ। তবে এবার দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দল নেপালের হেড কোচ হয়ে আবারও ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিলেন ল। এই ৫৬ বছর বয়সী কোচের নিয়োগের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে দেশটির ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে একই সংস্করণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশকে হারায় যুক্তরাষ্ট্র! এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও কানাডাকে হারিয়ে সুপার এইটে চলে যায় মার্কিনিরা। যা ক্রিকেট বিশ্বে রীতিমত ঝড় তুলেছিল। বেসবল আর বাস্কেটবলের দেশটি ক্রিকেটের বাইশ গজে এমন সফলতা পায় মূলত অস্ট্রেলিয়ান কোচ ল’র অধীনেই। তবে জুনে এমন সফলতা এনে দেওয়ার পর অক্টোবরেই এই ৫৬ বছর বয়সী কোচকে বরখাস্ত করে যুক্তরাষ্ট্র!
এমন দারুণ একজন কোচকে নিজেদের করে নেওয়ার সুযোগ হারায়নি নেপাল। মন্টি দেশাইয়ের সঙ্গে এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে নেপাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের চুক্তি শেষ হয়ে যায়। সে জায়গায় ২ বছরের জন্য স্টুয়ার্ট ল-কে নিয়োগ দিয়েছে তারা।
ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডেলে একটি টুইট করে নেপাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন লিখে, “অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি স্টুয়ার্ট ল’কে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগামী ২ বছরের জন্য নেপাল জাতীয় পুরুষ দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন ল।” আগামী জুনে স্কটল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে নেপাল ক্রিকেটের সঙ্গে ল’র পথচলা শুরু হবে।
গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতেই ল’কে যুক্তরাষ্ট্রের চাকরি হারাতে হয়। কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে সঙ্গে নিয়ে দলের ভেতর অন্তর্কোন্দল সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, দলের ভেতর বৈষম্য, বিভেদ, অবিশ্বাস তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শোনা গিয়েছিল, নিজের পছন্দের খেলোয়াড়দের জায়গা দেন ল।
ঢাকা/নাভিদ