ঢাকা     বুধবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩২

দেশে জ্বালাও-পোড়াও ও সহিংসতার বিরুদ্ধে জার্মানিতে প্রতিবাদ সমাবেশ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১১, ৩০ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৯:১১, ৩০ জুলাই ২০২৪
দেশে জ্বালাও-পোড়াও ও সহিংসতার বিরুদ্ধে জার্মানিতে প্রতিবাদ সমাবেশ

দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগ, হত্যা, সম্পদ ধ্বংসে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের সাথে নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে জার্মান আওয়ামী লীগ। 

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ২টায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশে জার্মানির বিভিন্ন শহর থেকে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালি অংশ নেয়।

সমাবেশের শুরুতেই কোটা আন্দোলনে মৃত্যুবরণকারী শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক এবং সাধারণ মানুষ যারা মারা গেছেন, তাদের সবার আত্মার শান্তি কামনা ও শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সমাবেশে জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর হক খান বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির এই আন্দোলন ছিনতাই করে। যেভাবে সরকারি স্থাপনাগুলো আক্রমণ করা হয়েছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে- এটা কোনও আন্দোলন না, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।

সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বলেন, সরকারি স্থাপনা এবং উন্নয়নের স্মারক অবকাঠামোগুলোতে আগুন লাগানো হয়েছে। এসব কোনও ঘটনার পেছনেই শিক্ষার্থীরা ছিল না। সন্ত্রাসী ভাড়া করে দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

এ সময় বক্তব্য রাখেন মাবু জাফর স্বপন, আবদুল মালেক, নুরজাহান খান নুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম, মায়েদুল ইসলাম তালুকদার, নুরে আলম সিদ্দিকী রুবেল, রাগিবজ্জামান সুফিয়ান, রানা ভূঁইয়া, আকরামুজ্জামান কামাল ভূঁইয়া, সূর্য কান্ত ঘোষ, সরফুদ্দিন জুয়েলে, পিয়েল আহমেদ, শেখ রেদোয়ান, ওয়াদুত মিয়া, শাহআলম, ফিরোজ আহমেদ, বেলাল হোসেন, ফরিদ আহম্মেদ, জহিরুল হক, সালাহউদ্দিন, এনামুর রহমান মুসা, রনি মাতুব্বর, প্লবন ভূঁইয়া, ফরিদ মিয়া, বদিউজজামান, জার্মান স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খান সাবরা, জার্মান ছাত্রলীগের  সাধারণ সম্পাদক নিশাত বাপ্পী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আসুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের সবার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে রক্ষায় এসব সন্ত্রাসী ও হত্যাকারীদের রুখে দিই। আগামী নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণ করি।

সমাবেশ শেষে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, দেশের সম্পদ নষ্টকারীদের শাস্তির দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়