খাদ্য নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সবার

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্যকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সবার। উৎপাদক থেকে শুরু করে ভোক্তা এবং প্রক্রিয়াজাতকারী সবার।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের খবর পত্রিকার আয়োজনে ‘নিরাপদ খাদ্য ও কৃষি ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্যকে নিরাপদ রাখতে সচেতনতা ও সাবধানতা এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা যার যার অবস্থান থেকে যে দায়িত্বটুকু আছে তা পালন করলে এ সমস্যা সমাধান সহজ। আমরা কি আমাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছি? আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন, উপলব্ধির যায়গাটা আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, খাদ্যের ভেজাল বুঝতে হবে কিভাবে এবং কি করলে ভেজাল হয়। এরকম নানা অপপ্রচারের ফলে আজ আমাদের পোল্ট্রি শিল্প যেভাবে লাভবান হওয়া উচিত ছিল সেভাবে হচ্ছে না। আমরা এখনও অনেকেই ফার্মের মুরগি খাই না, কিন্ত বিল গেটস থেকে শুরু করে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের সবাই কিন্তু এই মুরগি খাচ্ছে।

দুধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কোনো কিছু প্রচার করার আগে বুঝতে হবে জানতে হবে। বিজ্ঞানীদের মতামত নিতে হবে ল্যাব পরীক্ষার ফলাফল জানতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের অঙ্গীকার। ইতিমধ্যে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের নিমিত্তে কৃষি মন্ত্রণালয় একটি অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব স্থাপন করতে যাচ্ছে এবং বিদ্যমান ল্যাবগুলোকে আধুনিকায়ন করা হবে। এছাড়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ভবন ও ল্যাব থাকা জরুরি। আমরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করবো। মাঠ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত এমনভাবে তদারকি থাকতে হবে যাতে ভেজাল ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে না পারে। সার্বিক বিষয় জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে সংবাদকর্মীদের আংশগ্রহণে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করতে হবে।

গোলটেবিল আলোচনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এর প্রফেসর ড. খুরশিদ জাহান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ড.মো. সালেহ আহমেদ।

দৈনিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়ার সভাপত্বিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসিআই অ্যাগ্রোলিংক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফাহ আনসারি, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহারিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহারিচালক মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ।


ঢাকা/আসাদ/সাইফ