‘ভরামৌসুমে কৃষিপণ্য ও ক্ষতিকর কিটনাশক আমদানি নয়’
সচিবালয় প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
ফসল তোলার ভরামৌসুমে কৃষিপণ্য এবং পরীক্ষা ছাড়া ক্ষতিকর কিটনাশক আমদানি এবং তার মাত্রারিক্ত ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে কৃষিমন্ত্রণালয়।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিত্যপন্যের উৎপাদন ও আমদানির মধ্যে সামঞ্জস্যতা নির্ধারণের সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
চাল, গম, ভুট্টা, আম, মৌসুম ভিত্তিক শাক-সবজি, পেঁয়াজ, রসুন, আদার উৎপাদন ও আমদানির সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনার করার সভায় বলা হয়, কৃষিকে লাভ জনক এবং কৃষককে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এখন থেকেই পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কৃষিসচিব মো: নাসিরুজ্জমান বলেন, কৃষকের উৎপাদিত পণ্য যখন বাজারে নিয়ে যায়, তখন একই পন্য আমদানি করা হলে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে ক্ষেত্রে ফসলের উৎপাদন সময় ও বাজারজাতের সময় এবং চাহিদার সাথে উৎপাদন নিরুপণ করে সময় অনুযায়ী আমদানির অনুমোদন দেয় প্রয়োজন। যে কোন কৃষিপণ্য উৎপাদনের সময় ওই পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয়া বন্ধ রাখতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানির জন্য প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, এজন্য অননুমোদিত কিটনাশক বাজারে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। কন্ট্রাক ফার্মের (চুক্তিভিত্তিক কৃষিখামার) মাধ্যমে কৃষিপন্য উৎপাদন করে একদিকে যেমন নিরাপদ খাদ্য পাওয়া যাবে, অপরদিকে রপ্তানির বাজার প্রসারিত হবে।
সভায় সংশ্লিষ্ট পক্ষ গুলোর প্রতিনিধিরা মত দেন, অতিমাত্রায় কিটনাশক ব্যবহার রোধে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। কৃষি পণ্যে বিদ্যমান ক্ষতিকর উপাদান কিভাবে ভোক্তা পর্যায় রোধ করা যায়, সে ব্যপারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার তাগিদ দেন তারা।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়, কৃষি পণ্যে ভারী ধাতুর উপস্থিতি উদ্বেগের বিষয়। কিটনাশক আমদানি পর্যায়ে ল্যাব টেস্টের কোন ব্যবস্থা নেই, ল্যাব টেস্ট বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত দপ্তরের দপ্তর প্রধানগণ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য, বিএসটিআই, পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতিনিধসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/ আসাদ/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন
