প্রবাস

কাইয়ুমকে দেশে পাঠাতে মালয়েশিয়ার হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

২০১৫ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেওয়া বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুমকে দেশে ফেরত পাঠাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশটির কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট।

কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের আইনজীবী মি. কি শু মিন বলেছেন, বিচারক কে মুনিয়ান্দি তার বেআইনি অভিবাসন আটককে চ্যালেঞ্জ জানাতে হেবিয়াস কর্পাসের জন্য কাইয়ুমের আবেদনের শুনানির জন্য ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।

শুনানির আগে, হাইকোর্ট সরকারকে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূরক হলফনামা দাখিল করতে এবং কাইয়ুমকে ১ মার্চের মধ্যে জবাব দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে।

মি. কি বলেন, ২২ মার্চ একযোগে উভয়পক্ষ তাদের লিখিত জমা দেওয়ার আগে সরকারকে ১৫ মার্চ একটি নিশ্চিতকরণ ফাইল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এক বিবৃতিতে সুয়ারামের (আমার কণ্ঠ) নির্বাহী পরিচালক সেভান দোরাইস্বামী বলেছেন, মালয়েশিয়ার পুলিশ এবং বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) দ্বারা পরিচালিত যৌথ অভিযানে কাইয়ুমকে ১২ জানুয়ারি আমপাং-এ তার বাসভবনে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডি’র কর্মকর্তা তাবেলা সিজার।এ ঘটনায় একই দিন তার সহযোগী আইসিসি’র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হেলেন ভেন ডার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৬ সালের ২২ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বিএনপি নেতা কাইয়ুমসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর ৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।