মালদ্বীপ সরকারের ‘অপারেশন কুরাঙ্গির’ উদ্দেশ্য, অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দেওয়া। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’ হচ্ছে অবৈধ অভিবাসন রোধ করার প্রয়াসে চলতি মাসের শুরুর দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক চালু করা মালদ্বীপ সরকারের একটি বিশেষ অভিযান।
মালদ্বীপের কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’র অংশ হিসেবে ৭০৫ জন প্রবাসীর বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করেছে। এই অপারেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অভিবাসীদের গ্রেপ্তার এবং দেশে ফেরত পাঠানো নয়, তাদের নিয়মিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া।
গত ২ মে হিমাফুশি থেকে শুরু করা হয় এই অপারেশন। অপারেশনের প্রথম ধাপে মালদ্বীপের সব অভিবাসী শ্রমিকদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাথিমাথ রিফাথ একটি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, হিমাফুশি আইল্যান্ডে শেষ হওয়ার সাথে সাথে মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় দ্বীপের নাম ঘোষণা করবে, যেখান থেকে আবারও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
এর আগে, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইহুসান বলেছেন, মন্ত্রণালয় ‘শিগগিরই’ আরও পাঁচটি অঞ্চলে অভিযান সম্প্রসারিত করবে। এপ্রিলে ‘আহা’ পাবলিক ফোরামের একটি অধিবেশনে মন্ত্রী ইহুসান বলেন, অনথিভুক্ত অভিবাসীদের সমস্যাটি তিন বছরের মধ্যে সমাধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অভিবাসীদের বায়োমেট্রিক্স ডেটা সংগ্রহ ছিলো অপারেশনের প্রথম ধাপ, যা এক বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যে একবার সমস্ত অভিবাসীদের ডেটা সংগ্রহ করা এবং একটি সিস্টেমে প্রবেশ করা হলে, সরকার তারপরে সমস্ত অনথিভুক্ত অভিবাসীদের নিয়মিত করবে।
মন্ত্রী ইহুসান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যারা সুযোগে নিয়মিত বৈধ হতে ব্যর্থ হবে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।