প্রবাস

মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ঈদ পুনর্মিলনী 

মালয়েশিয়ায় কর্মরত শ্রমজীবী প্রবাসীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ও আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।

রোববার (২৩ জুন) মালয়েশিয়ার মনোরম পাহাড়ি এলাকা, ক্যামেরুন হাইল্যন্ডসের একটি মিলনায়তনে প্রবাসী কর্মীদের জন্য এ আয়োজন করা হয়।

শ্রমজীবী প্রবাসীদের নিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।   এছাড়া ডেপুটি হাইকমিশনার মো. খোরশেদ আলম খাস্তগীর, ক্যামেরুন হাইল্যান্ডস ফার্মাস এসোসিয়েশনের সভাপতি লি পেং ফো, মালয়েশিয়ার ফার্ম মালিকদের প্রতিনিধি  মিজ্  পুয়ান সিতি, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি প্রতিনিধি, প্রবাসীকর্মী প্রতিনিধি, অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউজ এবং সিটি ব্যাংক রেমিট্যান্স হাউজের প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং  হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রবাসীকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। এরপর বিভিন্ন ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করেন প্রবাসী কর্মীরা। পরে হাইকমিশনার প্রবাসী কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি। মতবিনিময়কালে শ্রমিকরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা হাইকমিশনারের কাছে তুলে ধরেন।  পাসপোর্টসহ হাইকমিশনের অন্যান্য সেবা কুয়ালালামপুর থেকে দূরবর্তী ক্যামেরুন হাইল্যন্ডসে প্রদানের দাবি জানান তারা।

হাইকমিশনার কর্মীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং সেসব সমস্যা সমাধানে হাইকমিশন  নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মর্মে জানান। তিনি বলেন, কুয়ালালামপুর থেকে দূর প্রদেশে  যারা বসবাস করছেন তাদের আর কষ্ট করে হাইকমিশনে যেতে হবে না। দূতাবাসের সেবা ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে।  এছাড়া হাইকমিশনের সেবা সংক্রান্ত কল সেন্টার চালু করা হয়েছে যার নম্বর ০৩৯২১২০২৬৭।  হাইকমিশনের ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা ছুটির দিনগুলিতে বিভিন্ন স্থানে নিয়মিতভাবে দেওয়া হচ্ছে। ক্যামেরুন হাইল্যন্ডসেও পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিয়মিত কনস্যুলার ক্যাম্প করা হবে বলে হাইকমিশনার প্রবাসীদের  আশ্বস্ত করেন। 

হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। তার কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতি ও সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। আর এ অগ্রযাত্রার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে প্রবাসী কর্মীরা।

হাইকমিশনার বলেন, প্রবাসীবান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। হাইকমিশনার  প্রবাসীদের ব্যাংকের মাধমে রেমিট্যান্স পাঠানোর এবং সার্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠানো হলে দেশের অর্থনৈতিক  উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

আলোচনা শেষে প্রবাসী শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে কর্মীদের সাথে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন হাইকমিশনার।  অনুষ্ঠান শেষে শ্রমজীবী প্রবাসীদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন  তিনি।