মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোতে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রদর্শনীর জন্য ‘বেস্ট অ্যাকটিভিটিস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির সেলানগর প্রদেশের সাইবারজায়ায় অবস্থিত প্রখ্যাত মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটিতে (এমএমইউ) এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশনে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন ) বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানের কাছে অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করেন মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটির উপদেষ্টা খালিদ ফাইয়াজ মোহাম্মদ এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর হেড অব অ্যাকটিভিটিস ডিপার্টমেন্ট টেংকু আলিশা সাবরিনা বিনতি টেংকু এরউইন মারটিনো।
এ সময় ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহানা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।
গত ২০-২৩ জুন পর্যন্ত মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে এ আন্তর্জাতিক এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়। মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটিতে গত শুক্রবার (২১ জুন) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ প্রদর্শনের আয়োজন করে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ও তার সহধর্মিনী পেন্ডোরা চৌধুরী , মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিএন রেড্ডি, মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক দাতো ড. মাজলিহাম মো. সৌদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক কোরের সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ সপরিবারে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন।
প্রদর্শনী শেষে বিভিন্ন দেশের দর্শকরা সিনেমার নির্মাণশৈলীর প্রশংসা করেন। বঙ্গবন্ধুর আপোষহীন সংগ্রাম, দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ এবং বিপথগামীদের হাতে তার সপরিবারে মর্মান্তিক মৃত্যু দেখে দর্শকরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর শেষ দিনে মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির ‘গালা নাইট’-এ অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির তিনজন বাংলাদেশী ছাত্রনেতা এ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। এক্সপোতে মোট ছয় ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। বাংলাদেশ ‘বেস্ট অ্যাকটিভিটিস’ ক্যাটেগরিতে বিজয়ী হয়।
এছাড়া, এক্সপোতে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি প্রবাসী নারী উদ্যোক্তাদের প্লাটফর্ম ‘উই’ (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স) স্টল স্থাপন করা হয়। স্টলটিতে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশিত হয়।