প্রবাস

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করলো আরব আমিরাত

সাময়িকভাবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত ২০ জুলাই আমিরাতের দুবাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে মিছিল করে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। 

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মিছিলের বিষয়টি আরব আমিরাতের আইনের পরিপন্থী হওয়ায় ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। তারা আইন লঙ্ঘন করে দুবাইয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার সময় স্থানীয় পুলিশের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে ফেডারেল কোর্ট তাদের এ সাজা দেন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত তিন বাংলাদেশি বিক্ষোভের আয়োজক ছিলেন। অবৈধ থাকায় একজনের ১১ বছরের কারাদণ্ড হয়।

পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় সবধরনের ভিসা অন্তর্ভুক্ত কি না, সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগেও দীর্ঘদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী যাওয়া বন্ধ ছিল। 

এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুষ্টচক্র দুবাইয়ে মিছিল-মিটিং করেছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত দেশদ্রোহীরা। তাদের বিরুদ্ধে ওই দেশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। সাধারণ বাংলাদেশিরা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। দূতাবাসসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছি।

বায়রার সভাপতি আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সর্বাধিক রেমিট্যান্স এসেছে আমিরাত থেকেই। দেশটিতে নতুন শ্রমিক পাঠাতে না পারলে রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমে আসবে। 

মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ওমানও বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করেছিল। ছয় মাস বন্ধ থাকার পর কিছু ক্যাটাগরিতে ভিসা দেওয়া শুরু হলেও এখনো শ্রমিকদের ভিসা দেওয়া শুরু করেনি দেশটি। সম্প্রতি ঢাকায় ওমান দূতাবাস জানায়, শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুই দেশ কাজ করছে। সূত্র: খালিজ টাইমস