প্রবাস

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে সেবা আরও গতিশীল হবে: রাষ্ট্রদূত

কুয়েতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামগ্রিক কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি দূতাবাসের কনস্যুলার সেবার মানকে আরও সহজ এবং আধুনিকীকরণ করাসহ দূতাবাসকে প্রবাসীবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন দেশটির মিসিলাস্থ দূতাবাসে প্রবাসী সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা তুলে ধরেন।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) কুয়েতে বাংলাদেশে দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রদূত জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধপথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে, ফলে কুয়েত প্রবাসীরা বৈধ পথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

দূতাবাসের সেবার মান উন্নত ও সহজ করার লক্ষ্যে নয়টি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এসব নম্বরে ফোন করে প্রবাসীরা বিভিন্ন কনস্যুলার সেবা সম্পর্কে জানার সুযোগ রয়েছে।কখনো প্রবাসীদের বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা কেউ মারা গেলে দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে, যদি হটলাইন নম্বরে জানানো হয়।

রাষ্ট্রদূত বলেন, নতুন এমআরপি বা ই-পাসপোর্ট গ্রহীতারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নতুন পাসপোর্ট এর লিস্টগুলো বিজ্ঞপ্তি আকারে দেওয়া হয়। এতে করে প্রবাসীরা ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো মাধ্যমে অনুসন্ধান না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জেনে নিতে পারছেন তাদের পাসপোর্ট তৈরির বার্তাটি।

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতি মাসের দ্বিতীয় রোববার দূতাবাসে সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের উপস্থিতিতে গণশুনানির আয়োজন করা হবে। এতে সেখানে প্রবাসীদের অভিযোগ, পরামর্শ বা যেকোনো মতামত তারা প্রকাশ করতে পারবেন।

কুয়েতে বিভিন্ন কারণে প্রতি মাসে গড়ে ১৩ থেকে ১৪ জন প্রবাসী মারা যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, মারা যাওয়া প্রবাসীদের মরদেহ কুয়েতি স্পন্সর ‘কফিল’ দেশে পাঠিয়ে থাকেন।যদি সেক্ষেত্রে মারা যাওয়া প্রবাসীর কফিলকে না পাওয়া যায় বা কোনো প্রবাসী আকামাহীন অবস্থায় মারা যান, তাহলে শুধুমাত্র ওসব প্রবাসীদের মরদেহ স্থানীয় প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে দেশে পাঠানোর সম্পূর্ণ খরচ কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বহন করবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, দূতাবাসে একটি অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। কনস্যুলার সেবা নিতে আসা প্রবাসীরা তাদের অভিযোগ ও পরামর্শ এ বাক্সে জমা দিতে পারেন।

কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিরা রয়েছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, কুয়েতের সব কারাগারে যেসব বাংলাদেশিরা রয়েছেন। প্রতি মাসে তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং আইনি সহায়তাও দিয়ে যাচ্ছে দূতাবাস।

এছাড়া কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য যাতে আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়,সে বিষয়টি নিয়েও দূতাবাস কাজ করছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেনের সঙ্গে প্রবাসী সংবাদকর্মীদের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মঈন উদ্দিন সরকার সুমন, আ হ জুবেদ, আল-আমিন রানা, সাদেক রিপন, মোহাম্মদ হেব্জু মিয়া ও মহসিন পারভেজ।