কুয়েতের সরকারি প্রজেক্ট বা আকুদ হুকুমার ভিসা অন্যখাতে বা আহলি ভিসাতে পরিবর্তনের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন প্রবাসী শ্রমিকরা।
স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক ‘কুয়েত টাইমস’ এ বিষয়ে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসেফের একটি নতুন সিদ্ধান্ত জারির উদ্ধৃতি দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়, সরকারি চুক্তি এবং প্রকল্পে কর্মরত বা আকুদ ভিসার প্রবাসীরা অন্যখাতে ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। উক্ত নতুন নিয়ম কার্যকর হবে আসছে ৩ নভেম্বর থেকে।
আকুদ বা সরকারি প্রজেক্ট ভিসা পরিবর্তনে সুবিধাভোগীদের জন্য ৫টি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে: ১. সরকারি চুক্তি বা প্রকল্প শেষ হতে হবে। ২. জনশক্তি ও পাবলিক অথরিটি ভিসা পরিবর্তন বিষয়ে এবং শ্রমিকের অভাবসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্তা পৌঁছাতে হবে। ৩. সরকারি চুক্তির অধীনে কর্মী নিয়োগের পর থেকে কমপক্ষে এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। ৪. বর্তমান নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অবশ্যই ভিসা পরিবর্তনের অনুমোদন নিতে হবে। ৫. ভিসা পরিবর্তন প্রক্রিয়ার জন্য ৩৫০ (কুয়েতি দিনার) অতিরিক্ত ফি পরিশোধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, কুয়েতে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। দেশটির ক্লিনিং কোম্পানিগুলোতে এক তৃতীয়াংশ প্রবাসী বাংলাদেশি কাজ করছেন। সেসব কোম্পানিতে কর্মরত প্রবাসীদের মজুরি ৭০ থেকে ৭৫ কুয়েতি দিনার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ হাজার টাকা।
সেসব ক্লিনিং কোম্পানিগুলোর শ্রমিকেরা সরকারি প্রজেক্টে কাজ করেন, তাদের ভিসা ক্যাটাগরি আকুদ হুকুমা বা সরকারি প্রজেক্টের ভিসা বলা হয়ে থাকে। কুয়েত সরকারের সরকারি প্রজেক্টের ভিসা পরিবর্তনের খবর শুনে খুবই আনন্দিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নতুন সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে অনেকে বর্তমান বেতনের চেয়ে ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন বলে মনে করছেন।