প্রবাস

মালদ্বীপে বাংলাদেশির বিরুদ্ধে বিড়ালের মাংস বিক্রির প্রমাণ মেলেনি

মালদ্বীপের রাজধানী মালে শহরে বিড়ালের মাংস দিয়ে খাবার তৈরির অভিযোগে বাংলাদেশি নাগরিক  আরাফাত হোসেনকে গত ২০ আগস্ট গ্রেপ্তার করে মালদ্বীপের অভিবাসন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে আনীত বিড়ালের মাংস বিক্রির প্রমাণ মেলেনি।

স্থানীয় গণমাধ্যমে পুলিশের বরাত দিয়ে রোববার (২০ অক্টোবর) জানানো হয়েছে, আরাফাত বিড়ালের  মাংস দিয়ে খাবার তৈরি ও বিক্রি করেছে বলে তদন্তে কোনো প্রমাণ পায়নি দেশটির পুলিশ। ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় মামলার তদন্ত বন্ধ করা হয়েছে।

একটি বেসরকারি সংস্থা আরাফাতের বিরুদ্ধে বিড়াল  হত্যা ও  মাংস থেকে খাবার তৈরি এবং বিক্রির অভিযোগ এনেছিল। বিড়ালের মাংসে খাবার তৈরির অভিযোগ উঠলে মালদ্বীপের সাধারণ মানুষের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে মালদ্বীপের প্রাণী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আরাফাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।

বিড়ালের মাংসে খাবার তৈরির কোনো প্রমাণ না থাকলেও তিনি যে রান্নাঘরে খাবার তৈরি করছিলেন তার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জায়গাটি খাবার তৈরির জন্য যথেষ্ট পরিস্কার ছিল না।

স্থানীয় গণমাধ্যমকে মালদ্বীপ ইমিগ্রেশন জানায়, আরাফাত হোসেন মালদ্বীপে অবৈধভাবে বসবাস করেন। তাই তাকে গ্রেপ্তার করে নিজ দেশে নির্বাসিত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে মালদ্বীপের ইমিগ্রেশন বিপুল সংখ্যক অবৈধ অভিবাসী বিদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে যারা অস্বাস্থ্যকর জায়গায় খাবার তৈরি করে বিক্রি করেছিল। মালদ্বীপে প্রতিদিনই অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির ইমিগ্রেশন।

মালদ্বীপের বহু বাংলাদেশি মনে করেন- বাংলাদেশের ক্ষুদ্র পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করা প্রবাসীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে নিজেকে এমনভাবে প্রকাশ করেন যা মালদ্বীপের প্রশাসনসহ অনেকের নজরে এসে যায়। তাই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ভারতীয় নাগরিকদের কোটি কোটি টাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, যারা লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে লাখ লাখ রুপিয়া নিয়ে যাচ্ছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তাই আমাদের দেশের মানুষ উচিৎ প্রচারণা না চালিয়ে ব্যবসা করা।