১১৪ বছর আগে ১৩১৭ সনের ৩০ চৈত্রে রবীন্দ্রনাথ প্রার্থনা করেছিলেন, ‘যত বিঘ্ন দূর করো, যত ভগ্ন সরিয়ে দাও, যা কিছু ক্ষয় হবার দিকে যাচ্ছে সব লয় করে দাও- হে পরিপূর্ণ আনন্দ, পরিপূর্ণ নূতনের জন্যে আমাকে প্রস্তুত করো।’
১১৪ বছর পর ৩০ চৈত্রে বাঙালিকে অনুরূপ প্রার্থনাই করে যেতে হয়। নতুনের জন্য, পুরনোকে আসন ছেড়ে দেবার মাহেন্দ্রক্ষণে বিদায় ও আগমনের দোলায় দুলতে দুলতে নতুনের জন্য অপেক্ষাই জাগে। চৈত্র মানেই শেষ বেলাকার শেষ খেলা। চৈত্রেই শুরু ঝড়ো তাণ্ডবের। মানুষের জীবন এবং প্রকৃতি ভেতরে বাইরে একাকার হয়ে যায়। চৈত্রের দাবদাহ আর প্রচণ্ডতা সঙ্গে নিয়ে আসে বৈশাখ। চৈত্র মানেই গুমোট গরম, অস্বস্তি ভাব প্রকৃতিতে। চৈত্রের নিদারুণ খরা প্রদাহে কোথাও মাটি ফেটে চৌচির। আকাশে মেঘ ভাসে। অথচ বৃষ্টির চিহ্ন নেই ধরিত্রীতে এক ফোঁটাও। এমন চিত্রই ছিল গত শতকে।
রবীন্দ্রনাথ ১১৪ বছর আগের শেষ চৈত্র তথা চৈত্র সংক্রান্তিতে দেখেছেন প্রকৃতির দিন পঞ্জিকায় গ্রীষ্ম জ্বলে উঠছে। তার রুদ্ররূপ আর চিনে নিতে হয় না। ‘ঈশানের পুঞ্জমেঘ অন্ধ বেগে ধেয়ে আসে বাধা বন্ধন হারা গ্রামান্তরে বেণুকুঞ্জে নীলাঞ্জন ছায়া সঞ্চারিয়া- হানি দীর্ঘ ধারা। বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন, চৈত্র অবসান- গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের সর্বশেষ গান।’
রবীন্দ্রনাথের ‘বর্ষশেষ’ হয়েছিল এভাবে। বসন্তের শেষ সমীরণটুকু আর মেলেনি। প্রচণ্ড দাবদাহে বৃক্ষের শেকড়ও শুষ্কপ্রায়। নেই কোথাও বৃষ্টি। শস্য বপন; শস্য উৎপাদন বৃষ্টিবিহীন খরতাপে বিপন্নপ্রায়। সূর্য-রৌদ্রে নিজেকে পুড়িয়ে এ কেমন দগ্ধ হতে থাকা?
১৩১৭ সালের চৈত্র সংক্রান্তির উপাসনায় রবীন্দ্রনাথ পূর্ণপ্রাণে যা চাইবার, সেই প্রাণের স্পন্দন নিজের ভেতরে জাগিয়ে তোলার সাধনার কথা বলেছেন। রৌদ্রদগ্ধ তাপের দহনে কাঁপে চরাচর। ঘূর্ণিবাতাস, ধুলো, পাতা, খড়কুটো নিয়ে ছুটে যায়। সূর্যের অগ্নিমূর্তি প্রহর চিরে এগোয়। আর ফুরিয়ে আসে বর্ষ। লিখেছিলেন তারও ১৫ বছর আগে ১৩০২ সালের ‘চৈতালি’র বর্ষশেষ কবিতায়: ‘পাখিরা জানি না কেহ আজি বর্ষশেষ, বক বৃদ্ধ কাছে নাহি শুনে উপদেশ। যতদিন এ আকাশে এ জীবন আছে- বরষের শেষ নাহি তাহাদের কাছে- মানুষ আনন্দহীন নিশিদিন ধরি আপনারে ভাগ করে শতখানা করি।’
বিশ্ববাসী, রয়েছে যাদের বর্ষপঞ্জি, তাদেরও আছে যেমন বর্ষশুরু, তেমনি রয়েছে বর্ষশেষ। শুরু ও শেষের ভেতর দিন-ক্ষণ-সময় ঘুরে ঘুরে কাটিয়ে দেয় একটি বছর। জীর্ণ পুরাতন ভেসে যেতে থাকে বর্ষশেষের হিসাব মেলাতে গেলেই। বঙ্গদেশে প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত ছিল শকাব্দ। সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে ফসলি সন হিসেবে বঙ্গাব্দ বা বাংলা সন চালু হয়। বঙ্গাব্দের প্রথম মাস বৈশাখ। ভূমি রাজস্ব সংগ্রহের সুবিধার জন্য বৈশাখ মাসকে রাজস্ব সনের প্রথম মাস হিসেবে চালু করা হয়। রাজস্ব সংগ্রহের জন্য চৈত্র মাসের চেয়ে বেশি উপযোগী ছিল বৈশাখ। রাজস্ব সংগ্রহের জন্য মোগল যুগে চালু হয় অভিনব ব্যবস্থা ‘পুণ্যাহ’ বা ‘রাজ পুণ্যাহ’। সরকারকে খাজনা দেওয়া হচ্ছে পুণ্যের কাজ। অনেকটা ‘খাজা বাবাদের খানকায়’ মুষ্টি দেয়ার মতো পুণ্যের কাজ যেন। এ পুণ্যের জন্য পুণ্যাহ পদ্ধতির চালু। পুণ্যাহ উপলক্ষে রাজদর্শন বা জমিদার দর্শন হতো। এভাবে ভূ-স্বামীরা এই পুণ্যাহ প্রথার চালু করেন। যা আজো আছে এই উপমহাদেশের অনেক স্থানে। বাংলাদেশেও।
রবীন্দ্রনাথকে জমিদারী দেখাশোনা করতে হয়েছে। খাজনা আদায়ের হিসাব মেলাতে হয়েছে। প্রজাদের সাথে শেষ চৈত্রে ও নববর্ষে দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ নিজেও বাংলা সন ব্যবহার করতেন। তার রচনার শেষে তারিখে বসাতেন বাংলা সনের। পত্র যোগাযোগে (বিদেশী ছাড়া) বাংলা সনই ব্যবহার করতেন। দাপ্তরিক কাজেও বাংলা সনই ছিল তার কাছে সর্বাধিক গুরুত্ববহ। যদিও বাংলা সন বাংলা শিক্ষিতজনের ব্যবহারিক কাজে লাগে না। এই সন যে কৃষকের সনই রয়ে গেছে। যাদের কাজ খাজনা দেওয়া। এই ‘খাজনা’ মানে কৃষকের জন্য নিরানন্দ, জমিদারের জন্য পোয়াবারো। বাঙালি জীবনে বর্ষবিদায় মূলত আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হতো। বিশশতকের সত্তরদশক পর্যন্ত চৈত্র সংক্রান্তির আয়োজন হতো বেশুমার।
শান্তিনিকেতনে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হতো চৈত্রেই। আর শেষ চৈত্রেও থাকতো অনুষ্ঠানমালা। রবীন্দ্রনাথ আশ্রমবাসী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতেন। স্বকণ্ঠে গাইতেনও গান। ১১৪ বছর আগের শেষ চৈত্রে বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে অনেকে আছ বালক- তোমরা জীবনের আরম্ভ মুখেই রয়েছে; শেষ বলতে যে কী বোঝায় তা তোমরা ঠিক উপলব্ধি করতে পারবে না। বৎসরের পর বৎসর এসে তোমাদের পূর্ণ করছে, আর আমাদের জীবনে প্রত্যেক বৎসর নূতন করে ক্ষয় করবার কাজই করছে। তোমরা এই যে- জীবনের ক্ষেত্রে বাস করছ এর জন্য তোমাদের এখনো খাজনা দেবার সময় আসেনি।’
রবীন্দ্রনাথ আশ্রমের বালকদের বলেছেন তারা পূর্বাচলের যাত্রী, সূর্যোদয়ের দিকেই তাদের মুখ। আর তখন ৫০ বছর বয়সী রবীন্দ্রনাথ নিজেকেই সেই অবস্থানে মূল্যায়স করেছেন ‘আমরা যে এতকাল জীবনটাকে ভোগ করে আসছি তারই পুরো খাজনাটা চুকিয়ে যাবার বয়স আমাদের হয়েছে।’ তারপরও রবীন্দ্রনাথ আরো ৩০টি বর্ষশেষ করে ৩০টি নববর্ষ উদযাপন করেছেন। ১১৪ আগে চৈত্র শেষে পূর্ণিমারাতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বর্ষশেষ প্রবন্ধ পাঠ করেন। ‘আজ পূর্ণিমার রাত্রিতে বৎসরের শেষ দিন সমাপ্ত হয়েছে। কোনো শেষই যে শূন্যতার মধ্যে শেষ হয় না, ছন্দের যতির মধ্যেও ছন্দের সৌন্দর্য- যে পূর্ণ হয়ে প্রকাশ পায়, বিরাম- যে কেবল কর্মের অভাব মাত্র নয়, কর্ম বিরামের মধ্যেই আপনার মধুর এবং গভীর সার্থকতাকে দেখতে পায়- এই কথাটি আজ এই চৈত্র পূর্ণিমার জ্যোৎস্নাকাশে যেন মূর্তিমান হয়ে প্রকাশ পাচ্ছে। স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি জগতে যা- কিছু চলে যায় ক্ষয় হয়ে যায়, তার দ্বারাও সেই অক্ষয় পূর্ণতাই প্রকাশ পাচ্ছে।’
বর্ষবিদায়ের মধ্যে জীবনের ক্ষয়-লয় ও বিকাশের এক গভীরতায় রবীন্দ্রনাথ খুঁজছেন পরম আরাধ্যকে। ১১৪ বছর আগের শেষ চৈত্রের আয়োজনে ছিলেন আশ্রমের শিক্ষার্থীরা । বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন থেকে রবীন্দ্রনাথ আরো আগে সরে এসেছেন। দেশপ্রেমের গান রচনার চেয়ে তখন পূজা পর্যায়ের গানের স্রোত প্রবাহিত হচ্ছিল। বন্ধুপুত্র ও পুত্রবন্ধু সন্তোষ মজুমদার সেদিন কবির ভাষণ, আবৃত্তি আর গান শুনে স্পন্দিত হয়েছিলেন। একটি বছরের চলে যাওয়ার মধ্যে যে সকরুণ সুর, তার যে চাওয়া-পাওয়ার হিসেব; পুরাতনকে পেছনে ফেলে সামনে নবীনের আবাহনের জন্য স্বপ্রণোদিত হয়ে ওঠা- সেসব তার চেতনালোকে এক বিস্ময়কর আলোকবিচ্ছুরণ ঘটিয়েছিল। যাওয়ার পেছনে যে আসার বাণীও থাকে সেকথা সেদিন বলেছিলেন কবি। ‘জীবনের সমস্ত যাওয়া কেবলই একটি পাওয়াতে এসে ঠেকছে- সমস্তই যেখানে ফুরিয়ে যাচ্ছে সেখানে দেখছি একটি অফুরন্ত আবির্ভাব। এইটিই বড়ো একটি আশ্চর্য। অহরহ নূতন নূতন পাওয়ার মধ্যে যে পাওয়া, তাতে পরিপূর্ণ পাওয়ার রূপটি দেখা যায় না।’
এই যে ‘বরষ ফুরায়ে আসে’ দিনপঞ্জিকার পাতা খসে পড়ে; এই খসে যাওয়া যেন জীবনের আকাশ থেকে নক্ষত্রের ঝরে যাওয়া নক্ষত্র পতনের সুরই ভিন্ন। পতিত নক্ষত্রের ভেতর থেকে আবার কিছু কিছু ভাসমান থাকে। যেন সেও ভেসে যায়। জীবনের গতিপথে রবীন্দ্রনাথ বর্ষশেষ আর নববর্ষের ভেতরে যে গভীর সূক্ষ্ম স্পন্দন রয়েছে, তাতে পাওয়া না পাওয়ার ভিন্নতাকে স্পষ্ট করেছেন। ‘একটু একটু করে রিক্ত হতে হতে অন্তরাত্মা যে পাওয়ার মধ্যে এসে পৌঁছে সেটি কী গভীর পাওয়া, কী বিশুদ্ধ পাওয়া সেই পাওয়ার যথার্থ স্বাদ পাবামাত্র মৃত্যুভয় চলে যায়- তাতে এ ভয়টা আর থাকে না, যে-যা কিছু যাচ্ছে তাতে আত্মার কেবল ক্ষতিই হচ্ছে। সমস্ত ক্ষতির শেষে যে অক্ষরকে দেখতে পাওয়া যায় তাঁকে পাওয়াই আমাদের পাওয়া।’
তখনো রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ, শাহজাদপুর, পতিসরের জমিদারীর দেখাশোনা করতেন। কিন্তু শান্তিনিকেতনে আশ্রম চালুর পর তা নিয়মিত হয়ে ওঠেনি। ১৩১৭ সনে শান্তিনিকেতন আশ্রমে বর্ষশেষের আয়োজনে তেমন আড়ম্বড়তা বা অনুষ্ঠানের ব্যাপকতা আয়োজন ছিল না। আশ্রমে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ছিল কম। সন্ধ্যাবেলা উপাসনার আয়োজন করা হতো। শেষ চৈত্রে উৎসবের ঘনঘটা ছিল না। বিদায়ের এক ধরনের করুণ সুর মূর্চ্ছিত হতো যেন সে সময়। শান্তিনিকেতনের গোড়ার দিকে রবীন্দ্রনাথ বর্ষশেষ ও নববর্ষে আশ্রমবাসীদের উদ্দেশ্যে লিখিত ভাষণ পাঠ করে শোনাতেন। ১১৪ বছর আগে শেষ চৈত্রে আকাশ মেঘ মুক্ত ছিল।
প্রথম যুগের ছাত্র সুধীরঞ্জন দাশের আত্মকথায় মেলে ‘পূর্ণিমার আলোয় চারপাশ আলোকিত হয়ে বেশ লাবন্য ধরে রেখেছিল।’ রবীন্দ্রনাথ সেদিন আশ্রমবাসীকে স্মরণ করালেন, ‘যেখানে যা-কিছু সমস্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে সেই গভীর নিঃশেষতার মধ্যে আজ বর্ষশেষের দিনে মুখ তুলে তাকাও, দেখোঃ সেই এক যিনি, তিনি অন্তরীক্ষে বৃক্ষের মতো স্তব্ধ হয়ে আছেন। চিত্তকে নিস্তব্ধ করো- বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্ত গতি নিস্তব্ধ হয়ে যাবে, আকাশের চন্দ্র তারা স্থির হয়ে দাঁড়াবে, অনু পরমাণুর অবিরাম নৃত্য একেবারে থেমে যাবে। দেখবে বিশ্বজোড়া ক্ষয়মৃত্যু এক জায়গায় সমাপ্ত হয়ে গেছে।’ এই যে ক্ষয়, বিদায়, মানুষের চলে যাওয়া সবকিছুকে একসূত্রে গ্রথিত করেছেন কবি।
বর্ষবিদায় যেমন একেবারেই তার চলে যাওয়া, মানুষের ও ক্ষয় লয়ের ভেতর দিয়ে নিঃশেষিত হয়ে যাওয়ার ভেতর একটা করুণ ক্রন্দন মথিত ধ্বনি শোনা যায়। রবীন্দ্রনাথ বলেছেনও ‘ভাঙ্গাচোরা আবর্জনার আঘাতে পদে পদে ধুলোর উপর পড়তে হয়- এবার সে সমস্ত নিঃশেষে চুকিয়ে দাও, কিছুই আর বাকী রেখো না।’ পুরাতনের বিদায়ের সময়গুলো অপূর্ণতায় যাতে ঢাকা না পড়ে, মানুষের চিত্তে পুরাতন সরিয়ে নতুনের দিকে যে যাত্রা রবীন্দ্রনাথ সে যাত্রা পথের জন্য নবীনদের প্রস্তুত হতে বলেছিলেন ১১৪ বছর আগে শেষ চৈত্র দিনে। যে চৈত্র নিয়ে তার কাব্য রয়েছে এন্তার।
শান্তিনিকেতন আশ্রমের প্রথম বর্ষশেষ আয়োজন হয়েছিল ১৩০৮ সালের ৩০ চৈত্র। সেদিনের বর্ষশেষ ভাষণে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘হে চিরদিনের চিরন্তন, অতীত জীবনকে এই যে আজ বিদায় দিতেছি এই বিদায়কে তুমি সার্থক করো- আশ্বাস দাও যে, যাহা নষ্ট হইল বলিয়া শোক করিতেছি তাহার সকলই যথাকালে তোমার মধ্যে সফল হইতেছে। আজি যে প্রশান্ত বিষাদ সমস্ত সন্ধ্যাকাশকে আচ্ছন্ন করিয়া আমাদের হৃদয়কে আবৃত করিতেছে, তাহা সুন্দর হউক, মধুময় হউক, তাহার মধ্যে অবসাদের ছায়ামাত্র না পড়ুক।’
শান্তিনিকেতনের আশ্রমে চৈত্র পবনের দোলায়িত বাতাসে রবীন্দ্রনাথ নববর্ষের প্রাতঃসূর্যের জন্য অপেক্ষমান থেকেছেন। শেষ খর বায়ু বয়ে যাওয়া চৈত্রের পূর্ণিমা রাতে তিনি লিখলেন ১৩১৮ সনের ১লা বৈশাখের জন্য ভাষণ ‘নববর্ষ’। সেও শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে।
লেখক: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও মহাপরিচালক, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ