ইস্তাম্বুল অবিরাম
রুমি হয়ে নিরুদ্দেশ তাবরেজির দিকে পা বাড়িয়ে দেখি প্রজাতন্ত্রের পতাকায় ছেয়ে গেছে সব আত্মারও দেয়াল। বিপ্লবের রুহ রাষ্ট্রের হেফাজতে রাজপথ রোদ পোহায় বসফরাসের তীরে। এই শীতে ঘর থেকে না বেরিয়েও আমাকে তুমি অর্ডার করে আনতে পারো গরমাগরম অনলাইনে; আধা আশেক ও বাকিটা শরাবি মিলেঝুলে চালিয়ে নেব শরিয়ত-বেদাত, আপাতত যৌনতার জংলি গন্ধ অক্ষত থাকতে থাকতে ঠিক করো প্রেমে ফস্কাবে কিনা পা... বেইলিকদুজুর খুচরা বন থেকে ইশতিকলাল স্ট্রিটে এই দুনিয়া পাইকারি পরির হাট কতটা আর কতটা বাকালাভা!
দুই
হাত থেকে পড়ে আমার রুমি ভেঙে গেল যেমন ভেঙে যায় বুক তোমার ফেলে-যাওয়া চোরা নিশ্বাসে। নিশ্বাসের গর্ভে নিশ্বাসের মাজার তবু নয়া নিশ্বাসের হাভেলি গড়ে ওঠে, রিচ পায় অর্গানিক নিশ্বাস আজও জারি আছে মর্মান্তিক, মানুষের দুটো চোখের চত্বরে কান্নাপানি-টলটল সমুদ্র গর্জায়; সমুদ্রের নীল চামড়া দিগন্তবিধৌত যেহেতু আকাশও কিছু না নীলাভ ত্বকের ধারণা।
তিন
ইস্তাম্বুলের রাস্তায় ভোরসকাল হাঁটতে হাঁটতে দেখা যায় দুপুরের আগেই বিকাল বিকালের আগে সন্ধ্যার খেলাফত, ডুবো ডুবো সূর্য ধাক্কা খায় চাঁদের আসন্ন সব উদয়ের গায় ওই তো ঐ গালাতায়।