মৃত্যু নির্মোহ। মৃত্যু অনিবার্য। সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। তবে কিছু কিছু মুত্যুর ঘটনা বেশি বেদনা তৈরি করে। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। চলতি ডিসেম্বরেই ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’-শিরোনামের গানের গীতিকার, সুরকার আবু জাফর মারা গেছেন। এ মাসেই ‘নাই টেলিফোন নাই রে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’-গানের শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা যান। বছরের শেষের দিকে কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যু বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে শোকের পরিমাপ যেন সবকিছু ছাপিয়ে যায়। এই ডিসেম্বরেই প্রয়াত হন ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীত জগতের উজ্জ্বল তারকা ওস্তাদ জাকির হোসেন। এসব নিয়েই সাজানো হয়েছে শিল্প সাহিত্যঙ্গনের সালতামামি-২০২৪।
হেলাল হাফিজ প্রেম ও দ্রোহের শিখায় জ্বলে কবিতায় নিঃসঙ্গ শ্রাবণ ধারা ঝরিয়ে গহীন গগণে পাড়ি দিয়েছেন কবি হেলাল হাফিজ। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে কবির মৃত্যুর বিষয়টি জানান তার ছোট ভাই নেহাল হাফিজ। হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন।কবি হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৮৬ সালে প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি।
দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলেন সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে।
২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ২০১২ সালে ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থের কবিতার সঙ্গে কিছু কবিতা যুক্ত করে প্রকাশ করা হয় তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। সবশেষ ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় তৃতীয় কবিতার বই ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।
আবু জাফর ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’-শিরোনামের গানের গীতিকার, সুরকার আবু জাফর মারা গেছেন। গত ৫ ডিসেম্বর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন এ গীতিকারের প্রাক্তন স্ত্রী।
তার জন্ম কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে।রাজশাহী-ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন আবু জাফর। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গানগুলো তুমুল শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করেছিল। ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ আবু জাফরের সৃষ্টি। এই গান তাকে নিয়ে যায় অনন্য উচ্চতায়। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান করে নেয় গানটি।
আবু জাফর সংগীত ক্যারিয়ারে অসংখ্য গান উপহার দেননি। তবে যা দিয়েছেন তাই কালজয়ী। ‘তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’, ‘আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি’, ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’-গানগুলো এখনো সমান শ্রোতাপ্রিয়।
ইসমাইল কাদারে প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ইসমাইল কাদারে গত ১ জুলাই আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। দীর্ঘ ৬০ বছরের সাহিত্যিক জীবনে ইসমাইল কাদারে উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ ও বেশ কিছু নাটক রচনা করেছেন। তার প্রথম উপন্যাস দ্য জেনারেল অব দ্য ডেড আর্মি। এ উপন্যাসই তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়।
ইসমাইল কাদারের জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৮ জানুয়ারি, আলবেনিয়ার গিজিরোকাস্তার শহরে।তিনি ইতিহাস ও ভাষাতত্ত্ব নিয়ে তিরানা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীকালে মস্কোর গোর্কি ইনস্টিটিউটে বিশ্ব সাহিত্যের ওপর অধ্যয়ন করেন।
ইসমাইল কাদারে ২০০৫ সালে প্রথম ম্যান বুকার পুরষ্কার পান। এছাড়া অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইসমাইল কাদারের প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয়। তার অনেক কবিতার সংকলন বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। ইসমাইল কাদারের উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে দ্য সিজ, দ্য প্যালেস অব ড্রিমস, দ্য গ্রেট উইন্টার ইত্যাদি।
এলিস মুনরো সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী কানাডার লেখক এলিস মুনরো গত ১৩ মে কানাডার অন্টারিওর পোর্ট হোপে একটি সেবাকেন্দ্রে মারা যান। এই লেখকের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ছোটগল্প লিখেছেন মুনরো। কানাডার গ্রামীণ জীবন উপজীব্য করেই তার বেশির ভাগ লেখা। এলিস মুনরোর গল্পে যে অন্তর্দৃষ্টি ও সমবেদনা ফুটে উঠত, সে জন্য তাকে প্রায়ই রাশিয়ার লেখক আন্তন চেখভের সঙ্গে তুলনা করা হতো।
২০১৩ সালে এলিস মুনরো সাহিত্যে নোবেল পান। সে সময় পুরস্কারের ঘোষণায় মুনরোকে ‘সমকালীন ছোটগল্পের মাস্টার’ অভিহিত করে নোবেল কমিটি বলেছিল, ‘তিনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে গল্প বলতে পারেন। তার গল্পের বিষয়বস্তু সুস্পষ্ট ও বাস্তববাদী।’
মুনরোর জন্ম ১৯৩১ সালের ১০ জুলাই, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইংহ্যাম এলাকায়। সেখানকার গ্রাম্য ও শান্ত পরিবেশেই তার বেড়ে ওঠা। বাবা ছিলেন খামারের মালিক, মা স্কুলশিক্ষক।
মুনরোর প্রথম গল্প ‘দ্য ডাইমেনশন অব আ শ্যাডো’। প্রকাশিত হয় ১৯৫০ সালে। তখন তিনি ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। সেখানেই পরিচয় হয় স্বামী জেমস মুনরোর সঙ্গে। তারা বিয়ে করেন ১৯৫১ সালে।
মুনরো গভর্নর জেনালের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনবার। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ‘ড্যান্স অব দ্য হ্যাপি শেডস’, ১৯৭৮ সালে ‘হু ডু ইউ থিংক ইউ আর’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘দ্য প্রোগ্রেস অব লাভ’ বইয়ের জন্য। তিনি কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারও পেয়েছেন। আর সাহিত্যে নোবেলের পর সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ম্যান বুকার পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৯ সালে। ‘দ্য বেয়ার কাম ওভার দ্য মাউন্টেন’ বইয়ের জন্য তিনি ওই পুরস্কার পান। তার এই বই অবলম্বনে পরিচালক সারাহ পলি তৈরি করেন সিনেমা ‘অ্যাওয়ে ফ্রম হার’।
মুনরোর প্রকাশিত অন্যান্য ছোটগল্পের সংকলনের মধ্যে আছে ‘লাইভস অব গার্লস অ্যান্ড উইম্যান’ ১৯৭১, ‘সামথিং আই হ্যাভ বিন মিনিং টু টেল ইউ’ ১৯৭৪, ‘দ্য মুনস অব জুপিটার’ ১৯৮২, ‘ফ্রেন্ড অব মাই ইয়ুথ’ ১৯৯০, ‘ওপেন সিক্রেটস’ ১৯৯৪, ‘দ্য লাভ অব আ গুড উইম্যান’ ১৯৯৮, ‘হেটশিপ ফ্রেন্সশিপ কোর্টশিপ লাভশিপ ম্যারিজ’ ২০০১, ‘রানঅ্যাওয়ে’ ২০০৪, ‘টু মাচ হ্যাপিনেস’ ২০০৯ এবং ‘ডিয়ার লাইফ’ ২০১২।
পাপিয়া সারোয়ার একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার গত ১২ ডিসেম্বর মারা যান।পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালে ২১ নভেম্বর। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র–অনুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সাল থেকে বেতার ও টিভিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।
১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারতে যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান। এর আগে তিনি ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে গানের দীক্ষা নেন। তার প্রথম অডিও অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। অ্যালবামটির নামও ছিল শিল্পীর নামেই, ‘পাপিয়া সারোয়ার’।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পাপিয়া সারোয়ার পেয়েছেন। তার ব্যতিক্রমী কণ্ঠ ও গায়কির প্রশংসা ছিল সংগীতাঙ্গনে। আধুনিক গানেও আছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাই রে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে। সংগীতবোদ্ধাদের মতে, আধুনিক গান বাছাইয়ে বেশ সচেতন ছিলেন বলে তার অ্যালবামের সংখ্যা কম। তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘আকাশপানে হাত বাড়ালাম’ প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। পাপিয়া সারোয়ার জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন একসময়। সর্বশেষ এই পরিষদের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।
ওস্তাদ জাকির হোসেন কিংবদন্তি তবলাবাদক, সংগীতজ্ঞ, অভিনেতা ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই। গত ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর এক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ১৯৫১ সালে মুম্বাইয়ে জন্ম জাকিরের। তার পিতা ওস্তাদ আল্লা রাখাও ছিলেন প্রখ্যাত তবলাবাদক। ভারত সরকারের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে তবলার সফর শুরু তার। সাত বছর বয়স থেকে মঞ্চে একক অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। সংগীতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্র্যামিও ভারতের এসেছে জাকির হোসেনের হাত ধরে।
পঙ্কজ উদাস ভারতীয় কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী পঙ্কজ উদাস গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মারা গেছেন। ৪০ বছরেরও বেশি সময় বলিউড মাতিয়েছেন পঙ্কজ। হিন্দি ছবির গানে আশির দশককে মুগ্ধ করেছেন পঙ্কজ। ‘চান্দি জ্যায়সা রং', ‘না কাজরে কি ধার', ‘দিওয়ারো সে মিল কর রোনা', ‘আহিস্তা', ‘থোড়ি থোড়ি প্যার করো', ‘নিকলো না বেনাকাব'-পঙ্কজ উদাসের গাওয়া অসাধারণ সব গজল আজও শ্রোতাদের মনে দাগ কাটে।
শাফিন আহমেদ ব্যান্ড তারকা ও সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ গত ২৪ জুলাই আমেরিকার ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান। শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। মা কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা সংগীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্ত। এই পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই শাফিন আহমেদ গানের ভেতরেই বড় হন। শৈশবে বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত শিখেছেন আর মায়ের কাছে শিখেছেন নজরুলসংগীত।
এরপর বড় ভাই হামিন আহমেদসহ যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সুবাদে পাশ্চাত্য সংগীতের সংস্পর্শে এসে ব্যান্ডসংগীত শুরু করেন। দেশে ফিরে গড়ে তোলেন মাইলস। যা দেশের শীর্ষ ব্যান্ডের একটি এখনো। এই ব্যান্ডের ৯০ ভাগ গান শাফিন আহমেদের কণ্ঠে সৃষ্টি হয়েছে। পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা।
তিনি কণ্ঠের পাশাপাশি ব্যান্ডটির বেজ গিটারও বাজাতেন।তবে গত কয়েক বছর তিনি মাইলস থেকে বেরিয়ে আলাদা দল গড়ে তোলেন। শাফিন আহমেদের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।
অন্যান্য মৃত্যু ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্রকার হারুনুর রশিদ, ১৩ মার্চ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ, ২২ আগস্ট প্রাবন্ধিক ও গবেষক অধ্যাপক ড. গোলাম মুরশিদ, ১৮ অক্টোবর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী সুজেয় শ্যাম মারা যান।