চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি এতোদিন ছিল ১০২ টাকা। চলমান আন্দোলনের মধ্যে টানা ১১ ঘণ্টার বৈঠক শেষে তাদের দৈনিক মজুরি ১৮ টাকা বেড়েছে। ১০২ থেকে বাড়িয়ে ১২০ টাকা করা হয়েছে।
তবে চা শ্রমিকরা এ মজুরি পাবেন ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। আপাতত চা শ্রমিকদের বকেয়া হিসেবে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী।
৭ অক্টোবর থেকে থেকে দেশের ২২৮ চা বাগানে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করছিল চা শ্রমিকরা। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ প্রফিডেন্ট ফান্ড অফিসে সমঝোতা বৈঠকে মজুরি বৃদ্ধির প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গলের প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসে চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশি চা সংসদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে দুর্গাপূজার আগেই চা শ্রমিকদের নতুন মজুরি প্রদানের দাবি জানান নেতারা। অপর দিকে চা সংসদের নেতারা বর্তমান চায়ের বাজারের অবস্থা তুলে ধরে তার ওপর ভিত্তি করে নতুন মজুরির সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেন। পরে বৈঠকে সমেঝাতার ভিত্তিতে বেতন বাড়ানো হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী শুক্রবার রাতে রাইজিংবিডিকে বলেন, এখন চা শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি ১০২ টাকার বদলে ১২০ টাকা পাবেন। আর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে। এখন আপাতত বকেয়া হিসেবে মজুরির সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকা করে চা-শ্রমিকরা পাবেন।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বর্ধিত উৎসব বোনাস পাবে চা-শ্রমিকরা।