বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বাইরে ধাওয়া করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ধাওয়া খেয়ে সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সদর পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেন। এ সময় বিএনপির সহযোগী সংগঠন কৃষক দল ও যুবদলের ৩ নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ফিরে গেলে সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ সিরাজসহ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় জিডি কিংবা অভিযোগ করেনি।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, সদরের সংসদ সদস্য ফুল দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের কিছু কর্মীরা তার সঙ্গে আসা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ দ্রুত এমপিসহ বাকি নেতাদের নিরাপদে ঘটনাস্থল থেকে বের করে দিয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজ বলেন, আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ খোকন পার্কে প্রবেশ করি। বিএনপিসহ অংগ সংগঠনের নেতারা মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানে হঠাৎ করে ছাত্রলীগের উশৃঙ্খল কর্মীরা আমাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এতে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে দ্রুত পাশের ফাঁড়ি থানায় নেওয়া হয়।
পরে এই হামলার প্রতিবাদে বিএনপি তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে।
এদিকে, এ বিষয়ে কথা বলতে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাসের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মুকুল ইসলাম বলেন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নেতৃত্বে বিএনপি নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। পরে তারা একত্র হয়ে সরকারবিরোধী কথাবার্তা বলছিল। তখন আমরা জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে তাদের কাছে গিয়ে চুপ করতে বলি। এ সময় তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। সে সময় আমরাও তাদের পেছনে এগিয়ে যাই।