কোম্পানীগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ‘একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী ও তার ছেলে শাবাব সিন্ধান্ত নিয়েছেন, তারা আমাকে গুলি করে হত্যা করবেন। আগেও আমার একটা লাশ ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা।’
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভে এসে কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আজ যে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চলছে, আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেভাবে তাণ্ডব চলছে, আমাকে গুলি করে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে; এরই প্রেক্ষাপটে আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু খোলামেলা কথা বলে যেতে চাই। এই সুযোগ হয়তো আমার আর থাকবে না। আমার জীবন অবসান ঘটবে, আমাকে হয়তো কারাগারে নিক্ষেপ করবে। কিন্তু আমার সঙ্গে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আছে। সারাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ আমার পক্ষে আছে। আমি কোনো কিছুকে ভয় করি না।’
মেয়র বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, যে তাণ্ডব আমার ওপর চলছে, আমার কর্মীদের ওপর চলছে, আজকে যে অস্ত্রবাজি আমার ওপর হচ্ছে, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেছা কাদের সব ঘটনা পরিচালনা করছেন। তার নেতৃত্বে সবকিছু হচ্ছে।’
‘চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি ভালো মানুষ’ মন্তব্য করে কাদের মির্জা বলেন,‘আমি তাকে জানিয়েছি, এখানে ডিবি পুলিশের ওসির নেতৃত্বে, এসপির নির্দেশে ওসি ও তদন্ত অফিসারের নির্দেশে ওই সন্ত্রাসীদের একটা চক্র নিয়ে আমার কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করছে। আর আমার দায়ের মামলাগুলোয় এখন পর্যন্ত একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। অথচ ইতোমধ্যে প্রায় আমার ২০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর তাদের লোকজন এখানে ঘোরাফেরা করছে।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রশাসনে যারা আছেন, তাদের মধ্যে নোয়াখালীর এসপি, ডিবির ওসি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।’ তাদের প্রত্যাহার না করলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।