ভারতীয় এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে খুন করান বলে দাবি করেন করেছেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ২০১৩ সালে কক্সবাজার জেলা পুলিশে পদায়ন হয় বাবুল আক্তারের। সেখানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গায়ত্রী নামে এক ভারতীয় নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এই পরকীয়া প্রেমের পথে কাঁটা ছিলেন স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। ঠিক এই কারণে ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্ত্রীকে খুন করান বাবুল আক্তার।
বুধবার (১২ মে) চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে মিতুর বাবা বলেন. কক্সবাজারের এনজিও কর্মী গায়েত্রী নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বাবুল আক্তার। এই সম্পর্ক মিতু জেনে যাওয়ার পর পারিবারিক অশান্তি তৈরি হয়। পরকীয়া সম্পর্কের কাঁটা মিতুকে সরিয়ে দিতে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে ২০১৬ সালের ৫ জুন বাবুল আক্তার নিজে ঢাকায় অবস্থানকালে ভাড়াটে খুনি দিয়ে চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় বাসার কাছে মিতুকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।
মিতু হত্যায় গায়েত্রী নামে ভারতীয় নাগরিকের নাম আসার পর অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি এনজিও সংস্থার হয়ে ২০১২ সাল থেকে কাজ করছিলেন গায়েত্রী। ২০১৩ সালে বাবুল আক্তারের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এই নারী। ২০১৬ সালের জুনে মিতু হত্যার পর তিনি কক্সবাজারের কর্মস্থল ছেড়ে যান বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।