সাবেক পুলিশ সুপার হলেও স্ত্রী হত্যার প্রধান আসামি হিসেবে সাধারণ বন্দির মতোই কারাগারে বন্দি আছেন বাবুল আক্তার।
আদালত কর্তৃক কারাবিধি অনুযায়ী বাবুল আক্তারকে ডিভিশন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য বলা হলেও কারাবিধিতে বাবুল আক্তার ডিভিশন পাওয়ার যোগ্য না হওয়ায় তাকে কারাগারে ডিভিশন প্রদান কিংবা বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।
শুক্রবার (২১ মে) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, স্ত্রী হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে গত ১৭ মে থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। ১৮ মে বাবুল আক্তারের আইনজীবী বাবুল আক্তারকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার আবেদন জানালে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। কিন্তু কারাবিধি অনুযায়ী বাবুল আক্তার ডিভিশন পাওয়ার যোগ্য নয় বলে জানিয়েছে কারাগার কর্তৃপক্ষ।
কারা সূত্র জানায়, বাবুল আক্তার বর্তমানে পুলিশ সুপার পদে নেই। এছাড়া তিনি স্বাভাবিক নিয়মেও অবসর গ্রহণ করেননি। এসব কারণে তিনি কারাবিধিতে ডিভিশনের যোগ্য নন। এর ফলে তাকে কারাগারে সাধারণ কয়েদীদের মতোই থাকতে হচ্ছে।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা বাবুল আক্তারকে কারাগারে ডিভিশন প্রদানের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত কারাবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছিলেন। এই সংক্রান্ত কাগজপত্র কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলেও কারাবিধি অনুযায়ী বাবুল আক্তারকে ডিভিশন দিতে না পারার বিষয়টি জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি পুনরায় আদালতে উপস্থাপন করে সরাসরি ডিভিশন প্রদানের আদেশ চেয়ে আবেদন জানানো হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামে খুন হন সাবেক আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। গত ১২ মে মিতু হত্যায় মিতুর বাবার দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
একই দিন তার সাত দিন রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। আদালত বাবুল আক্তারের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১২ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত বাবুল আক্তার পিবিআই হেফাজতে রিমান্ডে ছিলেন। ১৭ মে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।