বগুড়ায় সাব্বির হোসেন (১৫) নামের স্কুলছাত্র ও শামীম (৩০) নামের এক ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বগুড়ার শাজাহানপুর ও আদমদীঘি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বেলা ১১ টায় শাজাহানপুর থানার খরনা ইউনিয়নের জগন্থানপুর গ্রামের ডোবা থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় সাব্বিরের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাব্বির কাহালু থানার জামগ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে ও জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র।
সাব্বিরের বাবা গোলাম রব্বানী পেশায় ইজিবাইক চালক। তিনি অসুস্থ থাকায় সাব্বির ইজিবাইক চালাতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সাব্বির ইজিবাইক নিয়ে জামগ্রাম বাজারে যায়। এরপর রাতে বাড়ি ফেরেনি। সাব্বিরের বাবা পরদিন বুধবার (২৩ জুন) ছেলে নিখোঁজের ব্যাপারে কাহালু থানায় জিডি করেন। ওই রাতেই অজ্ঞাত এক ব্যক্তি গোলাম রব্বানীর কাছে মোবাইল ফোনে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। এক পর্যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি গোলাম রব্বানীকে জানায় ২ লাখ টাকা দিলে তার ছেলেকে জীবিত ফেরত দেওয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) শাজাহানপুর থানার বীরগ্রাম- ডেসমা পাকা সড়কের পার্শ্বে জগন্থানপুর গ্রামের মাঠে হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পান গ্রামের লোকজন। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে মরদেহ উদ্ধার করে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
নিহত সাব্বিরের বাবা গোলাম রব্বানী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছেলেকে তিনজন যাত্রী নিয়ে জামগ্রাম বাজার থেকে গ্রামের রাস্তায় দেখা গেছে। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যায় নি। তিনি বলেন মুক্তিপনের বিষয়টি তাৎক্ষনিক কাহালু থানা পুলিশকে জানানো হয়েছিল। এদিকে বৃহস্পতিবার লাশ উদ্ধারের পরেও অপহরনকারী চক্র মোবাইল ফোনে গোলাম রব্বানীর কাছে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, ছিনতাইকারী চক্র চালককে হত্যা করে ইজিবাইক নিয়ে গেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। মোবাইল ফোনে মুক্তিপন দাবী করার বিষয়টি নিয়েও পুলিশ তদন্ত করছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে আদমদিঘী উপজেলা নসরতপুর ইউনিয়নের ধনতলা এলাকায় ডোবা থেকে ভ্যান চালক শামিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শামিম নওগাঁ জেলার রানীনগর থানার বেলতা গ্রামে সেকেন্দার আলীর ছেলে।
জানাগেছে, শামিম বুধবার (২৩ জুন) অটো ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। এদিকে বৃহস্পতিবার আদমদীঘি থানার নশরতপুর ইউনিয়নের ধনতলা গ্রামের রাস্তার পার্শ্বে ডোবায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, ধারনা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা শামিমমকে হত্যা করে তার অটো ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।