বরিশালে গৌরনদী উপজেলায় ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতায় আরও একজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে একই এলাকায় নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতায় দুদিনের ব্যবধানে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. শাহা আলম খান নামে আরো একজন মারা যান।
তিনি গৌরনদী উপজেলার বার্থি ইউনিয়নের বড় দুলালী গ্রামের বাসিন্দা, খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পরাজিত (টিউবয়েল মার্কা) মেম্বার প্রার্থী মন্টু হাওলাদারের ভায়রা।
নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার সকালের দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। সন্ধ্যার দিকে সংঘবদ্ধ হয়ে অতর্কিতভাবে বেইলি ব্রীজ এলাকায় হামলা চালায়। তাকে কিল-ঘুষি মারলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে তিনি মারা যান।
এ হামলার জন্য খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য প্রার্থী ফিরোজ মৃধার সমর্থকদের দায়ী করেছেন স্বজনরা।
এরআগে ২১ জুন নির্বাচনের দিন ককটেল হামলায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মন্টু হাওলাদারের সমর্থক মৌজে আলী মৃধা নিহত হন। একই দিন সন্ধ্যায় ককটেল হামলায় আবু বকর নামে অপর এক যুবক নিহত হয়।
এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের স্বজনরা ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করেছেন।