সারা বাংলা

মগবাজারে বিস্ফোরণ: আর ‘বাবা’ ডাকা হবে না নোহার

বাবার কফিনের দিকে তাকিয়ে আছে দুই বছরের নোহা। আর মায়ের আহাজারিতে ভারী বাড়ির পরিবেশ। কিছু একটা হারানোর শোক মনে হলেও এখনও বুঝতে পারছে না বাবাকে আর কোনোদিন পাবে না নোহা। ডাকতে পারবে না ‘বাবা’ বলে। কয়েকদিন পর ঈদে বাড়ি আসার আসার কথা ছিল বাবা নোমানের। কিন্তু অসময়ে কফিনের বাক্সে ভরে এলো নোমানের মরদেহ।

পুরো নাম রুহুল আমিন নোমান (৩৩)। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর শহরের টিএন্ডটি পাড়ার ডা. খয়বর আলীর একমাত্র ছেলে তিনি। গত রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকার মগবাজারে ভবন বিস্ফোরণে প্রাণ হারান এই যুবক। পুড়ে যায় তার সারা শরীর। মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে নোমানের মরদেহ দাফন করা হয় তার গ্রামের বাড়ির সরকারি কবরস্থানে।

নোমানের কফিন বাড়িতে এসে পৌঁছালে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

নোমানের বাবা ডা. খয়বর আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তার দুই মেয়ে বড়। সবার ছোট ছেলে ছিল নোমান। নোমান ঢাকার ধানমন্ডির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ালেখা শেষ করে কোম্পানিতে চাকরি করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিনও মগবাজার চৌরাস্তার মোড়ের অফিস শেষে মালিবাগের বাসায় ফিরছিলেন। হঠাৎ বিস্ফোরণে ভবনের ছাদ ভেঙে অন্যদের মতো নোমানও ঘটনাস্থলে মারা যায়।

ডা. খয়বর আলী বলেন, বাড়িতে সবার সঙ্গে আগামী ঈদ করার কথা ছিল নোমানের। কিন্তু একটি দূর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল। কোনো বাবার জীবনে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সেই প্রার্থনা করেন ডা. খয়বর আলী।