সারা বাংলা

টাঙ্গাইলে নাপার সংকট, দ্বিগুণ দাম, রোগীদের ভোগান্তি

টাঙ্গাইলে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ড প্রতিদিনই ভঙ্গ করেছে। বুধবার (৩০ জুন) নতুন করে ৩২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে সরবরাহ না থাকায় টাঙ্গাইল শহরের ফার্মেসিগুলোতে প্যারাসিটামাল জাতীয় নাপা ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে রোগীদের ভোগান্তি আরও বেড়ে যাচ্ছে। 

করোনাভাইরাসে প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় নাপা জাতীয় ঔষধের চাহিদা কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফার্মেসির মালিকরা। দু’এক ফার্মেসিতে পাওয়া গেলেও দ্বিগুণ দাম নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।

বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরের নিউ মার্কেট, রেজিষ্ট্রিপাড়া, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল গেট, বটতলাসহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

হুমায়ন মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার ছেলের গত তিন দিনযাবত জ্বর। নাপা ওষুধ শহরের একাধিক দোকানে খুঁজে পাইনি। দোকানদার শুধু বলেন সরবরাহ নেই। এতে আমার ছেলের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

রুপচান মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহযাবত জ্বর ও শরীর ব্যথায় ভুগছি। অনেক দোকানেই নাপা নেই। দু’এক দোকানে পেলেও দাম দেড় থেকে দুই গুণ বেশি নেয়। এক পাতা নাপা ওষুধ ২০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। তাও আবার পাওয়া যায় না।

নাফিজ মেডিকেল হলের স্বত্ত্বাধিকারী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাপা জাতীয় ওষুধের চাহিদা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই সপ্তাহযাবত ক্রেতারা নাপা, নাপা সিরাপ, নাপা এক্সট্রা চাইলে দিতে পারি না। বাজারে এসব ওষুদের চাহিদা রয়েছে। সরবরাহ না থাকায় বিক্রিও করতে পারি না।

শফিক মেডিকেল হলের প্রোপাইটর মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সরবরাহ না থাকায় পাইকারি ও খুঁচরা ক্রেতাকে ওষুধ দিতে পারছি না। কোম্পানির লোকদের বললে তারা বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ১৫ দিনযাবত নাপা জাতীয় সকল ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে চাইলে আমি তাদের মানা করেছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সমাধান করা হবে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।’