সারা বাংলা

গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

করোনা মহামারি চলছে। এগিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা গরু পালন করে থাকেন। আশায় থাকেন গরু বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার। এ অবস্থায় হবিগঞ্জে গরু কেনা নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে খামারিদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।

এ জেলার একদিকে হাওর।  অপরপ্রান্তে পাহাড়ি এলাকা। বিশেষ করে হাওর ও পাহাড়ি এলাকায় প্রাকৃতিক ঘাসের সুবিধা থাকায় অনেকেই গরু পালন করেন।  ফলে এখানে ছোট, বড়, মাঝারি আকারে গরুর খামারও গড়ে উঠেছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, জেলাজুড়ে এমন খামারের সংখ্যা প্রায় ২ হাজারের বেশি।  খামারগুলোতে গরু রয়েছে ১১ হাজারেরও বেশি।  খামার ছাড়াও গ্রাম, পাহাড় ও হাওর এলাকার প্রায় বাড়িতেই গরু পালন করা হচ্ছে। পুরো বছরজুড়ে গরু পালন করা হয়। পরে ঈদে বিক্রি করার মাধ্যমে লাভবান হওয়ার আশা করেন এসব গরু পালনকারীরা। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের মাঝে গরু কেনা নিয়ে তেমন একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া বাজার বসা নিয়েও সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে বাজার বসা নিয়ে জেলা প্রশাসনের অপেক্ষায় রয়েছে জেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতি বছরই জেলার হাওর ও পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার গরু বিক্রি হয়ে থাকে। এ বছর এখন পর্যন্ত হাওর ও পাহাড়ি এলাকায় গরু ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে তেমন কোনো তৎপরতাই নেই।

পাহাড়ি এলাকার খামার মালিক তাজুল ইসলাম চৌধুরী, নূরুল ইসলাম, কাছুম আলী বলেন, প্রাকৃতিক ঘাসের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করা হয় ঈদে বিক্রির জন্য। কিন্তু এ বছর তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। একই কথা শোনালেন হাওর এলাকার খামারি সমুজ আলী, কাজল মিয়া, রাজা মিয়ারাও।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, খামারিরা গরু পালন করেন লাভের আশায়। পবিত্র ঈদুল আজহার বেশি বাকি নেই। চেষ্টা করা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরু বাজার চালু করার। কিন্তু পরিস্থিতিই বলে দিবে কি করার আছে।  তিনি বলেন, এ জেলার গরুগুলো ঘাস খেয়ে মোটাতাজা হচ্ছে। তাই ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে এসব গরু ক্রয়ের।