সারা বাংলা

মাগুরায় বাজার থেকে ‘নাপা’ ট্যাবলেট উধাও

মাগুরায় ওষুধের দোকান থেকে হঠাৎ করে প্যারাসিটামল গ্রুপের ‘নাপা’ ট্যাবলেট উধাও হয়ে গেছে। প্রচুর ব্যবহৃত এ ওষুধটি পাওয়া না যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ। 

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে জেলা সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার ওষুধের দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।

ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানি থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারে ‘নাপা’ ট্যাবলেটের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে— জেলা, উপজেলা এমনকি প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার ওষুধের দোকানেও গত এক সপ্তাহ থেকে ‘নাপা’ ট্যাবলেট পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও ট‌্যাবলেটটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মহম্মদপুর সদরের রায়পাশা গ্রামের আরব আলী জানান- ‘নাপা’ ট্যাবলেট একটি নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ। সবসময় ঘরে এ ওষুধ রাখতে হয়। বাজারে আর ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। 

মাগুরা সদরের নতুন বাজারের বাসিন্দা আকবর হোসেন জানান, ‘নাপা’ ট্যাবলেট পরিবারের সবার দরকার হয়। দোকানে গেলে বলছে ওষুধ নাই। আবার প্রতিটি ট্যালেটের দাম দুই টাকা করে দিলে ওষুধ বের করে দিচ্ছে।

শহরের ওষুধ ব্যবসায়ী আমিন ড্রাগসের মালিক আলাউদ্দিন মিয়া জানান, করোনার সময় প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধের বিক্রি বেড়ে যায়। এছাড়া কিছু লোক দরকারের চেয়ে বেশি ওষুধ কিনে ঘরে রেখে দিয়েছেন।

মহম্মদপুর সদরের ওষুধ ব্যবসায়ী রাজু ফার্মার মালিক আব্দুল্লাহ ফারুক জানান, কোম্পানি ওষুধের অর্ডার নিচ্ছে না। কিছু মানুষ গুজব ছড়িয়েছে ‘নাপা’ ট্যাবলেট আর পাওয়া যাবে না। এতে ‘নাপা’ ট্যাবলেটের বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। 

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাগুরার বিক্রয় প্রতিনিধি আরিফুর রহমান জানান, কাঁচামাল সঙ্কটে ‘নাপা’ ট্যাবলেটের উৎপাদন কমে গেছে। এ কারণে অর্ডার নেওয়া সাময়িক বন্ধ আছে। তবে প্যারাসিটামল গ্রুপের ‘নাপা সিরাপ’; ‘নাপা এক্সট্রা’; ‘নাপা এক্সটেন্ড’ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। শিগগিরই ‘নাপা’ ট্যাবলেটের সঙ্কট কেটে যাবে।

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) কাজী আবু আহসান বলেন, ‘শুনেছি বাজারে প্যারাসিটামল গ্রুপের ‘নাপা’ ট্যাবলেট পাওয়া যাচ্ছে না। করোনা মহামারিতে এ জাতীয় ওষুধের ব্যবহার বেড়ে গেছে। তবে বাজারে প্যারাসিটামল গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধের কোনো সঙ্কট নাই।’

মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোয় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সরবরাহ রয়েছে, কোনো সঙ্কট নেই।