সারা বাংলা

কক্সবাজারে ড. ইউনূসের চিংড়ি ঘের বেদখল

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার রামপুর মৌজায় অবস্থিত ৩০০ একরের একটি চিংড়ি ঘের দখল করে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এই চিংড়ি ঘেরের মালিক বাংলাদেশ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ মৎস্য ও পশু ফাউন্ডেশন বলে জানা যায়।

বাংলাদেশে সর্ব প্রথম এই চিংড়ি ঘেরে সেমি ইনটেনসিভ বা আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ শুরু হয়েছিল।

চকরিয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গত সোমবার রাতে ৫০ জনের অধিক একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অস্ত্রসহ চকরিয়া সুন্দরবন তথা রামপুরা মৌজায় অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৩০০ একরের  চিংড়ি ঘেরটি ঘেরাও করে ফেলে। 

এ সময় সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে চিংড়ি ঘেরে কর্মরত কর্মচারীদের ভয়ে দেখায় এবং তাদের একত্রিত করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা চিংড়ি ঘেরটি দখল করে নেয় এবং কর্মচারীদের তাড়িয়ে দেয়।

গ্রামীণ ব্যাংকের এই চিংড়ি ঘেরের ব্যবস্থাপক উৎপল কান্তি জানান, ‘সন্ত্রাসীরা চিংড়ি ঘেরটি দখল করে নিয়ে কর্মচারীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়।

উৎপল কান্তি থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানান,  তিনিসহ ওই চিংড়ি ঘেরে ১৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী ছিল। সবাইকে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। সন্ত্রাসীদের হাতে তখন ভারী অস্ত্র ছিল। তিনি সন্ত্রাসীদের নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়ে বলেন, 'গত ২৫ বছর ধরে ওই  চিংড়ি ঘেরে ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছি। এবং ৩০০ একরের এই চিংড়ি ঘেরের মালিক নোবেল জয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান ড মোহাম্মদ ইউনূস।'

এই চিংড়ি ঘেরের সরকারি রাজস্ব সব কিছুই ঠিকঠাক আছে বলে জানান তিনি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাকের মোহাম্মদ জুবায়ের জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের ৩০০ একরের  চিংড়ি ঘের দখলের ঘটনা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের কক্সবাজারস্থ আঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, চকরিয়া রামপুর মৌজার ৭ হাজার একর চিংড়ি জমির মধ্যে গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশনকে ৩০০ একর জমি ইজারা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালে ১৫ বছরের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ইজারার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে বর্তমানে গ্রামীণের সাথে মৎস্য বিভাগের মধ্যে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

তিনি জানান, ঘেরের দখল ঠিকই রয়েছে গ্রামীণ কর্তৃপক্ষের। অন্য কেউ জবরদখল করার কথা তাদের জানা নেই।