উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে তিস্তা ব্যরাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেণ্টিমিটার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কয়টি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। এতে তিস্তা নদী বেষ্টিত বিভিন্ন চরাঞ্চলের ছয় সহস্রাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিনের বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৪ জুলাই চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। সেই পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি একটু একটু করে বৃদ্ধি পেয়ে রাত আটটায় বন্যাবস্থার সৃষ্টি করে।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। বিকেল থেকে পানি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এতে ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরস্বর ও পূর্ব ছাতনাই গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।’
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তিস্তার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউনিয়নের প্রায় ছয়শ’ পরিবার এরই মধ্যে পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যহত আছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি সকাল ৬টায় ৫২ দশমিক ৩৭ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার, বেলা ১২টায় ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার, বিকেল ৩টায় ৫২ দশমিক ৪২ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ৬টায় ৫২ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিলো। রাত ৯টার দিকে ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ব্যারাজের ভাটিতে ডাউয়াবাড়িতে তিস্তার ডান তীর বাঁধে পানি আঘাত হানছে। সেখানে বালির বস্তা ফোলানো হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কয়টি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।’