প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে হাজারো মানুষ। চাপ বেড়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে।
দেখা যায়, দূরপাল্লার গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করলেও স্থানীয় পরিবহন চলছে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে।
রোববার (১৮ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। তবে যানজট দেখা যায়নি। যাত্রীদের ভিড় থাকলেও তাদের মাঝে ভোগান্তির কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত যানবাহন থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না যাত্রীদের। যাত্রীরা তাদের পছন্দের যানবাহনে ভাড়া মিটিয়ে যাচ্ছে নিজেদের গন্তব্যে। বেশিরভাগ যাত্রীই মাইক্রোবাসে বাড়ি যাচ্ছেন।
বুলবুল ইসলাম যাচ্ছেন রাজশাহীর বাঘমারা। তিনি বলেন, অফিস থেকে ছুটি নিয়ে সকাল সকাল বের হয়েছি যেন যানজটে না পড়তে হয়। ঈদের পরের দিন চলে আসতে হবে তাই দুইদিন আগে বাড়ি যাচ্ছি।
মাইক্রোবাসে ৭০০ টাকা ভাড়া মিটিয়ে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হলেন শাহীন সরকার। তিনি বলেন, মাইক্রোবাসে দ্রুত যাওয়া যায় এজন্য ৭০০ টাকা ভাড়া দিয়েই রওনা হলাম।
সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে পুলিশের ওসি মীর গোলাম ফারুক জানান, সকাল থেকে মহাসড়কে কোন ধরনের যানজট নেই। তবে দুপুরের পর অনেক প্রতিষ্ঠান ছুটি হবে। দুপুরের পর থেকে মানুষের চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যানজট ও ভোগান্তি নিরসনে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।