ঈদের বাকি আর মাত্র দুই দিন। ঈদকে কেন্দ্র করে শিমুলিয়া ও বাংলাবাজারঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে।
পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় একদিকে ফেরি চলাচলে সময় লাগছে বেশি, অন্যদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে শিমুলিয়াঘাটে ব্যক্তিগত গাড়ির বাড়তি চাপ। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোট-বড় পাঁচ শতাধিক যানবাহন।
সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। এসময় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পারাপারের অপেক্ষারেত কয়েকশ’ গাড়ি চোখে পড়ে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে কয়েকশ’ গাড়ি ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। শিমুলিয়াঘাটে গাড়ির চাপ ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে গাড়িগুলোকে এক্সপ্রেসওয়েতে রাখা হয়েছে। পচনশীল, শিশু খাদ্য ও জরুরি গাড়ি আটকানো হচ্ছে না। ঘাট থেকে সিগন্যাল দিলে ২০-৩০টি করে গাড়ি পাঠানো হচ্ছে। স্বাভাবিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই ট্রাকগুলো এখানে রাখা হয়েছে। ফেরি চলাচলে বেশি সময় লাগায় গাড়ি পারাপারেও দেরি হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের মেরিন কর্মকর্তা জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যেতে ফেরিগুলোর দ্বিগুণ সময় লাগছে। প্রতিটি ফেরিকে স্রোতের বিপরীতে ও নদীতে ৩-৪ কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। স্রোতের বিপরীতে চলাচলে সক্ষম না হওয়ায় তিনটি ফেরি চলাচল করতে পারছে না।
১৫টি ফেরি ও ৮২টি লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকায় ভোগান্তি কমেছে যাত্রীদের। তবে যাত্রীবাহী যানবাহনের তুলনায় বেড়েছে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে এ রুটে ১৫টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোট-বড় পাঁচ শতাধিক যানবাহন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়াঘাটের সহকারী পরিচালক সাহাদাত হোসেন জানান, এ রুটে ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে ৮২টি লঞ্চ চলাচল করছে। বাকি লঞ্চগুলোর কাগজপত্র ঠিক না থাকায় চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।