চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণাঞ্চলের ৬০টি গ্রামে একদিন আগেই আজ মঙ্গলবার (২০ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের ভক্তরা দীর্ঘদিন ধরে একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে আসছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সাতকানিয়ার উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েকশত মুসল্লি অংশ নেন। এরপর বাড়ি বাড়ি পশু কোরবানি দেওয়া হয়।
মির্জাখীল দরবার শরীফ পরিচালনা কমিটির সদস্য হেলাদুল হাই জানান, ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ মছউদুর রহমান। করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়৷ বালা মুসিবত থেকে দেশের সুরক্ষা চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে। এরপর দেওয়া হয় পশু কোরবানি।
এছাড়াও জেলার আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ও তৈলারদ্বীপ গ্রামে সকাল ৭টায় ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানি দেওয়া হয়।
পাশাপাশি চন্দনাইশ উপজেলার জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরাও প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানি দিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে একদিন আগে ঈদ উৎসব উদ্যাপন করছেন।
সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া, চরতী, বাজালিয়া, ছদাহা, কেওচিয়া ও গাটিয়াডেঙ্গা গ্রামে; লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি গ্রামে; বাঁশখালীর জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর গ্রামে; পটিয়ার হাইদগাঁও, বাহুলী ও ভেল্লাপাড়া গ্রামে এবং বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঈদ উদ্যাপন করছেন।
এছাড়াও পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি; কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা আজ একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করছেন।