লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র হচ্ছে। ভাঙনের কবলে ঐতিহ্যবাহী চিললমাড়ী গ্রাম, কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়।
গত কয়েকদিনে জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে পানি ওঠানামা করেছে। ২০ জুলাই তিস্তার দোয়ানী ব্যারাজ পয়েন্টে হঠাৎ পানি বেড়ে গিয়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পরের দিন ২১ জুলাই ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ২২ জুলাই ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ২৩ জুলাই ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ২৪ জুলাই ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।
তবে পানি বাড়া কমার সাথে তীব্র হয়েছে নদী ভাঙন।
স্খানীয়রা জানান, গত তিনদিনে ৯টি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের খুব নিকটে আছে সিন্দুর্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক।
সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি এমপি মহদয়ের নির্দেশে পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মহদয়কে অবগত করেছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছাড়া নদী ভাঙনের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড অবগত কিনা এমন প্রশ্নে তিনি কথা কোর্ট করে বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলতে বলতে ক্লান্ত। তাদেরকে বারবার বলার পরেও কাজ করছে না। ৩০ ভাগ কাজও তারা করে না। এবার ভাঙনেও বারবার বলা হচ্ছে। তারা মাঠে কাজ করছে না। তারা যদি কাজ না করে তাহলে ৪০০ পরিবারের একটি গ্রাম বিলিন হতে পারে। উঁচু কোনো চরে এই পরিবারগুলোকে যে আশ্রয় দিবো, এমন কোনো চরও নেই। আমার একটি ওয়ার্ড এখন সম্পূর্ণ নদীগর্ভে।