‘দক্ষিণ টাঙ্গাইলে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন যদুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দিন। জীবনের পুরোটা সময় তিনি এলাকার মানুষের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়ানোর পেছনে ব্যয় করেছেন। তার ধ্যান-জ্ঞান ছিলো স্কুল ও শিক্ষার্থীদের ঘিরে। তার চেষ্টায় বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়।’
জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মো. আফতাব উদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এ সব কথা বলেন।
শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের খামার ধল্লা এবতেদায়ি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় আফতাব উদ্দিন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কোরআন খানি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রয়াত আফতাব উদ্দিন ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসানের বাবা এবং গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল আলম রেজভীর বড় চাচা।
আফতাব উদ্দিন ৪৩ বছর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবনের শেষ ২০ বছর তিনি যদুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন তিনি। টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষক সমিতির দুই বছর সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। নাগরপুর শিক্ষক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৯৭ সালের ২১ আগস্ট আফতাব উদ্দিন মারা যান।
দোয়া মাহফিলে এস এম জাহিদ হাসান ছাড়াও আফতাব উদ্দিনের ছাত্র এস এম আব্দুল মতিন মিয়া, মো. আব্দুল মান্নান মিয়া, মো. তালেবুর রহমান, মো. রুহুল আমিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খামার ধল্লা এবতেদায়ি হাফেজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।
মরহুমের আত্মার মাগফেরাত এবং তার পরিবারের সদস্যদের মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করেন মাদ্রাসার শিক্ষক নজরুল ইসলাম। পরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোরআন শরীফ বিতরণ এবং শেষে ভোজের আয়োজন করা হয়।
মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর গ্রামে বাদ যোহর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।