বরিশালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান ও থানার ওসিসহ শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও সিটি কর্পোরেশনের দুই মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।
আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ আবেদন দুটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখে দিয়েছেন।
রোববার (২২ আগস্ট) বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে এই আবেদন করা হয়।
বিসিসি’র কাজে বাধাদান, বিনা উস্কানিতে বিসিসি’র কর্মচারীদের উপর গুলি বর্ষণের নির্দেশ, হামলা, গুলি বর্ষণের মাধ্যমে একাধিক ব্যাক্তির অঙ্গহানি এবং ৩০/৪০ জনকে আহত করার অভিযোগ এনে মামলা দুটি দাখিল করেন বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর যুবলীগ নেতা এবং সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ অ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন ও সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব শাখার কর্মকর্তা বাবলু হালদার।
অ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আদালতে দাখিলকৃত মামলার আবেদনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান, বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম ও এসআই শাহ জালাল মল্লিকসহ অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
অপর আবেদনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান ও ৫ জন আনসার সদস্যসহ ৪০-৫০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাঁটানো ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ৬০২ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। মামলা দায়েরের পর থেকেই আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মি আত্মগোপনে আছেন।