বগুড়ায় মসজিদে নামাজ আদায় নিয়ে দু’টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় বাহাসের আয়োজন করা হয়েছিলো। এই বাহাসকে (যুক্তিতর্কের আলোচনা সভা) কেন্দ্র করে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেই বাহাস বন্ধ করে দেয়।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যার পর বগুড়া শহরতলীর এরুলিয়া ইউনিয়নের সিল্কিবান্দা জামে মসজিদে এই ধর্মীয় বাহাসের আয়োজন করা হয়েছিল।
সিল্কিবান্দা বায়তুর নুর জামে মসজিদের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ জানান, ওই মসজিদে মোহাম্মদি সম্প্রদায়ের ১৫-২০ জন নামাজ আদায় করেন। দিন দিন সেখানকার জামাতে মোহাম্মদি সম্প্রদায়ের লোকজন বাড়ছে। এনিয়ে বর্তমান সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন মোহাম্মদি সম্প্রদায়কে আলাদা মসজিদে নামাজ আদায়ের দাবি করছিলেন।
তিনি বলেন, গত রোববার এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ২০-২৫ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন আমার বাড়িতে যান। মোহাম্মদি সম্প্রদায়ের ১৫-২০ জনের জন্য মসজিদে নামাজ আদায়ে হানাফি সম্প্রদায়ের অসুবিধা হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন। হানাফিদের নিয়ম অনুযায়ী ওই মসজিদে নামাজ আদায় করতে হবে বলে জানান ইমাম-মোয়াজ্জিনগণ। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এনিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার পর মসজিদ কমিটির সভাপতি সেখানে ধর্মীয় বাহাসের আয়োজন করেন। এবিষয়ে সমাধান দেওয়ার জন্য মসজিদ কমিটি বগুড়া জামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি শাফি কাসেমিকে সেখানে নিয়ে যান। মোহাম্মদি সম্প্রদায় থেকেও বহিরাগত লোকজন যান বাহাসে অংশ নেওয়ার জন্য। মাগরিব নামাজের পর মসজিদের অভ্যন্তরে ব্যানার লাগিয়ে বাহাসের প্রস্তুুতি নেওয়া হয়। এসময় মসজিদ ও আশেপাশে উভয় সম্প্রদায়ের শতাধিক লোকজন সমবেত হয়। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছে বাহাসের নামে যুক্তি তর্কের আলোচনা সভা বন্ধ করে দেন।
মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি মোজাফরফর হোসেন বলেন, এই এলাকার ৯৯ ভাগ মানুষ হানাফি। মোহাম্মদি সম্প্রদায়ের কয়েকজন মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। একারণে ধর্মীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য একজন মাওলানাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু সাবেক সভাপতি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ এসে আলোচনা সভা বন্ধ করে দেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের আলোচনা সভা বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।