দৌলতদিয়া প্রান্তে কুষ্টিয়া-ঢাকা মহাসড়কে ফেরি পারের অপেক্ষায় চারদিন ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি।
ট্রাকচালক ও হেলপারদের অভিযোগ, ৩-৪ দিন ধরে অপেক্ষার পরও ফেরিতে ওঠার কোন সুযোগ দেখছেন না। চরম ভোগান্তিতে দিন পার হচ্ছে তাদের।
সোমবার (৩০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে অন্তত ৫০০ শত ট্রাক।
মাগুরা থেকে আসা মারুফ শেখ বলেন, গত চারদিন আগে আমি এসেছি। ঘাট থেকে ১৩/১৪ কিলোমিটার দূরে এই কুষ্টিয়া-ঢাকা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছি। এখানে আমাদের খাবারের কোন হোটেল নাই। আমরা ৪ দিন গোসল করতে পারছি না।
বরিশাল থেকে কাভার্ড নিয়ে আসা ফরিদ হোসেন বলেন, ২দিন আগে রাতে এসে এখানে দাঁড়িয়েছি। এখনো এখান থেকে একটু নড়তে পারি নাই। আমাদের খাওয়া দাওয়া, টয়লেট সব কিছুতেই সমস্যা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা মতিন মন্ডল বলেন, প্রায় আড়াই দিন হতে চললো আমরা খোলা আকাশের নিচে এভাবেই রয়েছি। ঠিকমতো খাইতে পারতেছি না। গোসলের সুযোগ নাই। গাড়ির মধ্যেই গাদাগাদি করে ঘুমাচ্ছি।
কুষ্টিয়া থেকে আসা শরীফ বলেন, আমাদের ট্রাক চালকদের অনেকদিনেরই দাবি একটা টার্মিনালের। কারণ, ঘাটে কোন সমস্যা হলেই সব ভোগান্তি আমাদের ট্রাক চালকদের। যদি আমাদের একটি টার্মিনাল থাকতো তাহলে খোলা আকাশের নিচেও থাকতো হতো না। আবার খাওয়া দাওয়া, গোসল, টয়লেট, ঘুম নিয়েও সমস্যা থাকতো না।
এদিকে পদ্মার পানি ফের বাড়াতে ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। এছাড়াও পদ্মায় তীব্র ঢেউয়ের ফলে ফেরি চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে।
অন্যদিকে যাত্রীবাহী বাস, ব্যাক্তিগত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও কাঁচাপণ্যের গাড়িকে ফেরি পারে অগ্রাধিকার দেওয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের সারি দীর্ঘই থেকে যাচ্ছে।