সারা বাংলা

জামাইকে হাতুড়িপেটা করে চুরির মামলা দিয়ে পুলিশে দিলেন শ্বশুর

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নববধূর সাথে দেখা করতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আদর আপ্যায়নের বদলে হাতুড়িপেটার শিকার হয়েছেন স্বামী। শুধু তাই নয়, গণপিটুনির পর জামাইয়ের বিরুদ্ধে চুরির চেষ্টার মামলা দিয়ে শ্রীঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে ওই যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (২৯ আগস্ট) দিবাগত রাত একটার দিকে কুমারখালী উপজেলার  জগন্নাথপুর ইউনয়িনরে হোগলা গ্রামে অভিনব এই জামাইবরণের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী জামাই জগন্নাথপুর ইউনয়িনরে জোতপাড়া গ্রামের মৃত শহদিুল ইসলামের ছেলে জাকারয়িা রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রসায়ণ বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

নির্যাতনের শিকার জাকারিয়ার চাচা রবিউল ইসলাম জানান, তার ভাতিজার সাথে একই ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের খলিলুর রহমান মাস্টারের মেয়ের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছে। প্রায় দুই বছর আগে মেয়েটির পিতা তার ভাতিজাকে এ নিয়ে মারধর করে। হঠাৎ জানতে পারেন  গত ২৪ আগস্ট তারা গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর তারা যে যার বাড়িতে অবস্থান করতে থাকে।

রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে ভাতিজার মোবাইল ফোনে মেয়েটির ম্যাসেজ আসলে ভাতিজা মেয়েটির সাথে দেখা করতে ছুটে যায়। এ সময় মেয়েটির পিতা খলিলুর রহমান মাস্টার তার চাচাতো ভাই লালনসহ শ্বশুরবাড়ির ৪-৫ জন মিলে ঘরের মধ্যে আটকে তার ভাতিজাকে হাতুড়িপেটা করে।

এ সময় তার ভাতিজা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন তার বিরুদ্ধে বাড়িতে চুরির চেষ্টার অভিযোগ দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। রবিউল আরও জানান, ভাতিজার মাথায় ৭টি সেলাই দেয়া লেগেছে। হাঁটুতেও মারাত্মক আঘাত লেগেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে খলিলুর রহমান মাস্টারের বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশের জন্য তারা জাকারিয়া নামের ওই যুবককে মারপিট করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরর্বতীতে তার বিরুদ্ধে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে চুরির চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দেয়া হয়েছে।