সারা বাংলা

‘ঘর জামাই’ ডাক নিয়ে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘ঘর জামাই’ ডাকাকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের আটলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।

এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের আটলা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে সোহাগ মিয়া বুধবার দুপুরে একই এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে খুরশিদ মিয়াকে ‘ঘর জামাই’ বলে ডাক দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হাজী মার্কেটের সামনে খুরশিদ মিয়াকে মারধর করে সোহাগ মিয়া। তাৎক্ষণিকভাবে বাজারের থাকা লোকজন সোহাগ ও খুরশিদ মিয়ার বিবাদ মিটিয়ে দেন। তবে ঝগড়ার রেশ থামেনি। রাতের বেলা উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২৫জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে সোহাগ মিয়া (২০), মোহাম্মদ আলী (২৪), আল-আমীন (৩৫), সাইদুল মিয়া (২৭), রুবেল মিয়া (১৯), হৃদয় মিয়া (২০), আনার মিয়া (৪৫), রিমা আক্তার (২৬), সাজু বেগম (২৩), সানজু আরা (১৫), ময়না বেগম (১০), সাদিক মিয়া (৭), সাহানা বেগম (৫০), হামিদা খানম (২০), খুরশিদ মিয়া (২৩), রাশেদ মিয়া (৩৮), কাসেম মিয়া (৩০), রিপন মিয়া (১৬), নাজমুল মিয়া (১৩), রাহিমা (১১), নাদিয়া বেগম (৯), কারিমা আক্তার (১৪), রিফাত (১৪), ফারুক (৩০), ইকবাল (২৬) ও বাবুলকে (২৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা করা হয়।

মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাভেল বলেন, বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনোপক্ষই মামলা করেনি। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।