সারা বাংলা

পদ্মা সেতুর কাজ বাকি মাত্র সাড়ে ৫ শতাংশ: প্রকৌশলী

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ গত আগস্ট মাস পর্যন্ত এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।  মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের বাকি আর মাত্র সাড়ে ৫ শতাংশ।

মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। আগামী ১০ মাসের মধ্যে মূল সেতুর বাকি কাজ প্রায় এক হাজার ২২৭ কোটি টাকা দিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ প্রকৌশলী জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট বাজেট ৩০ হাজার ১৯১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে গত আগস্ট পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৫ হাজার ৮৮৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।  সেতু প্রকল্পের আওতায় নদীশাসনের অগ্রগতি হয়েছে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। নদীশাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৯৭২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, মূল সেতুর ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাব সবগুলো বসানো হয়েছে। ৫ হাজারটি শেয়ার পকেটের মধ্যে তিন হাজার ৪৮৪টি এবং ১২ হাজার ৩৯০টি প্যারপেট ওয়ালের মধ্যে ৫ হাজার ৬৭০টির স্থাপন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

মাওয়া ও জাজিরার ভায়াডাক্টে ৪৩৮টি সুপার গার্ডারের মধ্যে ৪৩৮টি এবং রেলওয়ে আই গার্ডার ৮৪টির মধ্যে ৮৪টিই স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর মোট ৪১টি ট্রাস রয়েছে, যার সবগুলো ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ১৫০ মিটার বা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

এদিকে, এ নৌরুটে লঞ্চ পদ্মা সেতু অতিক্রমের সময় চালকদের বাড়তি সতর্কতার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পদ্মাসেতু অতিক্রমের সময় বাড়তি সতর্কতা মেনে নৌপথে লঞ্চ চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

পদ্মা সেতু অতিক্রমের সময় বাড়তি সতর্কতা মেনে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-মাদারীপুরের বাংলাবাজার এবং শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি মঙ্গল মাঝিরঘাট নৌপথে লঞ্চ চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

এছাড়া লঞ্চের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পরিবহন, চালুর পূর্বে ইঞ্জিন যথাযথভাবে পরীক্ষা, জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামাদি নিশ্চিত করার জন্যও বলা হয়েছে।

নৌপথে সেতুর ৩৩-৩৫ নম্বর পিলার পর্যন্ত ১৫০ মিটারের মধ্যে এবং মাগুরখন্দ-হাজরা চ্যানেলের মুখে তীব্র ঘূর্ণায়মান স্রোতের কারণে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া এর আগে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল এবং ট্রলারে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ করতে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো.শাহাদাত হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।