সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণে তৃতীয় সাক্ষী মোহাম্মদ আলীর দেয়া জবানবন্দির গরমিলের দাবি তুলেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের বিরতিতে আদালত মুলতবির পর সাংবাদিকদের সামনে এই দাবি তোলেন তিনি।
অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ‘মামলার তৃতীয় সাক্ষী মোহাম্মদ আলীকে জেরা করার সময় তিনি যে কথাগুলো বলেছেন তা অস্পষ্ট এবং এতে গরমিল রয়েছে। মোহাম্মদ আলীর বাড়ি হ্নীলা এলাকায়। কিন্তু তিনি দাবি করছেন শামলাপুরে তিনি বছরে ২ হাজার টাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তার জাতীয় পরিচয়পত্রেও ঠিকানা নিয়ে গরমিল দেখা যায়। ঘটনার দিন তিনি নাকি মসজিদের প্রশ্রাব খানায় প্রশ্রাব করার সময় মেজর (অব.) সিনহাকে হত্যা করতে দেখেছেন। আমাদের প্রশ্ন হলো প্রশ্রাব করার সময় এতদূর থেকে পুরো ঘটনা তিনি কীভাবে দেখলেন। সাক্ষী মোহাম্মদ আলী বলেছেন কথিত ঘটনাটি রাত সাড়ে ৯টার পরে ঘটে। অথচ অভিযোগে রয়েছে রাত ৯ টা ২৫ মিনিট কিংবা সাড়ে ৯টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। মামলার অভিযোগে বর্ণিত ঘটনা ও মোহাম্মদ আলীর দেয়া জবানবন্দিতে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে।’
রানা দাশ গুপ্ত আরও বলেন, ‘গত ২৩-২৫ আগস্ট প্রথম দফা সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইনের বিধানে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আদালতের কার্যক্রম সংগঠিত হয়নি। সেসময় সকাল ১০ টা থেকে আদালত শুরু করে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ৮টা পর্যন্ত আদালত কার্যক্রম চলেছে। তাই আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইনের বিধানে নির্ধারণ করা সময়ের মধ্যে আদালত কার্যক্রম শেষ করতে বিজ্ঞ আদালতে "কোর্ট আওয়ার" (আদালত সময়) ব্যাপারে আবেদন করেছি, যেন বিকাল ৫ টার আগে আদালত কার্যক্রম শেষ হয়।’
এদিকে, রোববার সকাল থেকে দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম সাক্ষী (মামলার ৩নং সাক্ষী) মোহাম্মদ আলীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর ১নং আসামী ইনচার্জ লিয়াকত আলীর আইনজীবীদের জেরা শেষ হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের বিরতীর পর ওসি প্রদীপের আইনজীবীদের জেরা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মামলাটির রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী; কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।