নাসার মাধ্যমে আন্তজার্তিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে ছয় মাস অবস্থানের পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছে বাংলাদেশের ধনিয়া বীজ।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়।
এনআইবি মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) এবং জাপানি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (জাক্সা) এর উদ্যোগ ছিল এটি।
এরই অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পরিচালিত ‘এশিয়ান হার্বস ইন স্পেস' প্রকল্পটিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও পরবর্তীতে এনআইবি'র গবেষণাগারে এ সংক্রান্ত গবেষণার সুযোগ নিঃসন্দেহে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
বাংলাদেশের ধনিয়া বীজ দেশের প্রথম মহাকাশচারী হিসাবে এখন ইতিহাসের অংশ । আমাদের ধনিয়া বীজ ইতমধ্যে নাসার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে 'জাপানের মডিউলে' ছয় মাস অবস্থান করে ফিরে এসেছে।
৭ মার্চ মহাকাশে পৌঁছেছিলো এই ধনিয়া বীজ। হাইড্রোপনিক সিস্টেম ও আর্টিফিশিয়াল সানলাইট ব্যবহার করেই সেখানে ধনিয়া বীজ রাখা হয়েছিলো।
কি হবে ফিরে আসা এসব বীজের এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, মহাকাশে পাঠানোর সময় অনুকুল ধনিয়া বীজের কন্ট্রোল নমুনা সংরক্ষণ করা হয় এনআইবির গবেষণাগারে। মহাকাশ ঘুরে আসা ধনিয়া বীজের সঙ্গে কন্ট্রোল ধনিয়া বীজের তুলনামূলক সকল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত থেকে আমরা বুঝতে পারব এসব বীজে কোন ধরনের ফিজিওলজিক্যাল এবং মলিকুলার পরিবর্তন হয়েছে কি না।
এসব তথ্য পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব বিস্তার এবং ভবিষ্যতে মহাকাশেও ফসল ফলানোর সম্ভবনার পাশাপাশি না জানা অনেক প্রশ্নের উত্তর এনে দিতে পারে।
মহাকাশ জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত এই গবেষণায় দেশের নবীন শিক্ষার্থীদেরও যুক্ত করা হবে। এই গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থী ও গবেষকরা ভবিষ্যতে মহাকাশ জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত গবেষণায় অবদান রাখতে পারবেন।
মহাকাশ জীববিজ্ঞান সম্পর্কিত এই গবেষণায় বাংলাদেশ হতে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এর স্পেস সিস্টেম ল্যাবরেটরীর প্রকৌশলী মিজানুল হক চৌধুরী। গবেষণা কার্যক্রমটি এনআইবির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কেশব চন্দ্র দাস, মুসলিমা খাতুন ও উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।