সারা বাংলা

বগুড়ার নিখোঁজ ব্যবসায়ীর গলিত লাশ উদ্ধার

বগুড়ার শিবগঞ্জের মোফাজ্জল হোসেন (৪৮) নামে এক পান ব্যবসায়ীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়ার কাঁশবন থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। মোফাজ্জল গত ২৩ দিন নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার ভাসুবিহার গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে রুবেল (৩০), ইসাহাকের ছেলে মিলন (৪৫) ও মৃত অমির উদ্দিনের ছেলে সামাদ (৫০)।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট শিবগঞ্জ উপজেলার পার লক্ষীপুর চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন নিখোঁজ হন। ২৩ আগস্ট শিবগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়।

জানা গেছে, মোফাজ্জল বিভিন্ন জেলা থেকে পান কিনে বাজারে বিক্রি করতেন। গত ১৯ আগস্ট সকালে তিনি পান কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। পরিবারের লোকজন তার কোনো খোঁজ না পেয়ে থানায় জিডি করেন।

নিহতের স্ত্রী রাশেদা বেগম জানান, তার স্বামী একই গ্রামের রুবেলের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতো।  এ কারণে রুবেলের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পাওয়ায় তাদের সন্দেহ জোড়ালো হয়। এক পর্যায় গ্রামের লোকজন রুবেলকেও খুঁজতে শুরু করে। গত ৯ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট থেকে রুবেলকে ধরে আনে গ্রামের কিছু মানুষ। পরে পুলিশ থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রুবেল স্বীকার করে তারা তিনজন মিলে মোফাজ্জল হোসেনকে মোকামতলা থেকে অপহরণ করে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে মরাগাং কাঁশবনে গলা কেটে হত্যার পর তার মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে।

রুবেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১০ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানা পুলিশ আশুলিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় কাঁশবন থেকে মোফাজ্জল হোসেনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে মোফাজ্জল হোসেনকে মোকামতলা থেকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে আসামিরা। নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।