সারা বাংলা

৬ বছর ধরে ভাঙা ব্রিজ, চরম ভোগান্তি

ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ইনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃধা বাড়ির সামনের ব্রিজটি ভেঙে দীর্ঘ ৬ বছর আগে ভেঙে গেছে। এর ফলে  আদাখোলা-ভাতকাঠি এ দুই গ্রামের হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে আছেন।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. হাসান লোহার কাঠামোর ওপর পাটা দিয়ে এই ব্রিজটি নির্মাণ করেন। ছয় বছর আগে থেকে ব্রিজটির পাটা ভেঙে যেতে থাকে এবং লোহার কাঠামো একদিকে হেলে পড়ে। বর্তমানে এলাকার বৃদ্ধ, শিশু ও নারীসহ সকল লোকজন ও হেলে পড়া ব্রিজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এখনে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

মো. সত্তার মৃধা, আ. হাকিম আকন, হাবিবুর রহমান, রিপন মৃধা, ও সাইফুল মৃধাসহ এলাকার একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান আরও জানান, এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে এ বিষয়ে একাধিকবার গেলেও আশ্বাসের বাণী ছাড়া কিছুই পাইনি। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কিছুদিন আগে উপজেলা পরিষদ সদস্যরা একবার এসে ব্রিজটির ভঙ্গুর অবস্থা দেখে গেছেন। ব্রিজটি যেন এলাকার মরণ ফাঁদ। ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ওই এলাকাবাসী। ওই ব্রিজ নির্মাণের ঠিকাদার সাবেক ইউপি সদস্য মো. হাসান জানান, ১৯৯৯ সালে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি) এর ষাট হাজার টাকা ব্যয়ে লোহার কাঠামোর ওপর পাটা দিয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। বর্তমানে ব্রিজটি ভেঙে খুবই খারাপ অবস্থা হয়েছে। ব্রিজটি নির্মাণ করা খুবই জরুরি।

এ বিষয়ে বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার মিয়া বলেন, ‘শুনেছি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু ওই ব্রিজটি নির্মাণের জন্য বাজেট করিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে পারি না।’

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু জানান, ওই ব্রিজটিসহ বড়ইয়া উইনিয়নে মোট তিনটি ব্রিজের বরাদ্দ পাস করানো হয়েছে। এখন শুধু টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে।