খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় চৌকিদার আব্দুল জলিল হত্যা মামালায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের দু’জনকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার রেজওয়ান গোলদারের ছেলে শহিদুল গোলদার ও পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের সুলতান শেখের ছেলে আনোয়ারুল শেখ। সাাঁজাপ্রাপ্ত দুই আসামি বর্তমানে পালাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আহাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালে ২১ জানুয়ারি পাইকগাছা থানা পুলিশ গোপন খবর পেয়ে একটি অস্ত্রের চালান আটক করতে কাটিপাড়া বাজারে চেকপোস্ট বসায়। এ সময় পুলিশ সন্দেহভাজনদের দেহ তল্লাশি করতে থাকে। এরই মধ্যে পাইগাছার চিহ্নিত তিন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলযোগে কাটিপাড়া বাজারে পৌছায়। পুলিশ তাদের গতি রোধ করে। পুলিশ সদস্য দীপংকর সন্ত্রাসীদের কাছে পৌছানো মাত্র শহিদুল কোমর থেকে পিস্তল বের করে পুলিশের গলায় ঠেকিয়ে ধরে। এটা দেখে গ্রাম্য চৌকিদার জলিল এগিয়ে গেলে শহিদুল তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই জলিলের মৃত্যু হয়।
পুলিশের অন্য সদস্য জামাল এগিয়ে গেলে তার কাছ থেকে রাশেদ গোলদার রাইফেল কেড়ে নেয় এবং মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় পাইকগাছা থানার এসআই মো. আবু দাউদ শিকদার বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- শহিদুল গোলদার, রাশেদ গোলদার ও আনোয়ার।
এ মামলায় তিন দফায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী’র নারাজি আবেদনের কারণে দ্বিতীয় দফায় আরো তিনজনের নাম অর্ন্তভুক্ত করা হয় চার্জশিটে। তারা হলেন ওই এলাকার মজিদ গোলদার, আজিজ গোলদার ও ফজলুর রহমান মোড়ল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি মো. আহাদুজ্জামান জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরবর্তীতে ওই তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।