সারা বাংলা

কিস্তির টাকা না দেওয়ায় গর্ভবতীকে আটকে রাখার অভিযোগ

মাদারীপুর সদর উপজেলার নয়ারচর গ্রামের রুমা আক্তার নামে এক গর্ভবতী মহিলাকে দিনভর এনজিও অফিসে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এনজিওর কিস্তির টাকা নির্ধারিত সময় পরিশোধ করতে না পারায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। 

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার সাজেদা ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও রয়েছে। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের ২৮ মার্চ ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন নয়ারচর গ্রামের ভ্যান চালক মোস্তাকিন বেপারীর স্ত্রী রুমা আক্তার। করোনার কারনে নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিলেন না তিনি। বুধবার দুপুরে রুমা আক্তারকে ঋনের কিস্তির জন্য ওই এনজিওটির মস্তফাপুর শাখার ফিল্ড অফিসার মৌসুমী আক্তার চাপ প্রয়োগ করেন। 

ভুক্তভোগী রুমা আক্তার জানান, কিস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে জোরকরে এনজিও অফিসে নিয়ে যাওয় হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘আমার স্বামী ভ্যান চালক।  করোনার কারনে ভ্যানে যাত্রী উঠেছে না। সেই কারনে আয় রোজগার কমে গেছে। তাই এই মাসের কিস্তির টাকা দিতে পারিনি। এনজিও থেকে ফিল্ড অফিসার মৌসুমী আপা এসে আমাকে জোড় করে অফিসে নিয়ে যান। পরে আমাকে অনেক হুমকি ধামকি দিয়ে বলেন কিস্তি পরিশোধ করে তোমার স্বামী তোমাকে ছাড়িয়ে নিবে। পরে একথা জানাজানি হলে সন্ধ্যার আজানের আগে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

সাজেদা ফাউন্ডেশন নামে ওই এনজিওটির ফিল্ড অফিসার মৌসুমী আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রুমা আক্তার এমনিতেই অফিসে এসেছিলেন। তাকে জোড় করে আনা হয়নি। ’

এনজিওটির শাখা ব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘রুনা আক্তার নামে এক সদস্য এসেছিলেন কিস্তি দিতে পারবেন না সেটা জানাতে। তাকে জোড়করে আনা হয়নি।’

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ঘটনাটি অমানবিক। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।