সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখী ইয়াবা পাচার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখন বড় বড় ইয়াবার চালান মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার না এনে সরাসরি চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে পাচার করে নিয়ে আসছে। গত ২ দিনে চট্টগ্রাম এবং বান্দরবান থেকে প্রায় ৯ লাখ ইয়াবার দুটি বড় চালান জব্দ করেছে র্যাব। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৭ কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানাচ্ছে, আগে মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে ইয়াবার বড় চালান কক্সবাজারের টেকনাফ আসার পর সেগুলো ছোট ছোট চালানে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাচার হয়ে আসতো। বিশেষ করে টেকনাফ কক্সবাজার থেকে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্টভ্যান, যাত্রীবাহী বাস এবং নৌপথে ইয়াবার ছোট ছোট চালান পাচার হয়ে আসতো। কিন্তু বর্তমানে ইয়াবার গডফাদাররা কৌশল পালটে বড় বড় ইয়াবার চালান মিয়ানমার থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম ও ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান হয়ে পাচার করে নিয়ে আসছে। এই ধরনের দুটি বড় চালান গত দুই দিনে জব্দ করেছে ৭ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) চট্টগ্রাম।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম ইউসুফ রাইজিংবিডিকে জানান, মিয়ানমার থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে এবং বান্দরবানে আসা ইয়াবার বড় দুটি চালান জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১২ রোহিঙ্গাকে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী নদীর ফিসারী ঘাট থেকে র্যাব বিশেষ অভিযান চালিয়ে জব্দ করে ৩ লাখ ৯৬ হাজার পিস ইয়াবা। এই সময় গ্রেপ্তার করা হয় ১২ রোহিঙ্গাসহ ১৪ জনকে। যার আনুমানিক মূল্য ১২ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় দফা অভিযানে র্যাবের আভিযানিক দল ১ অক্টোবর ভোরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান আলীকদম থেকে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ইয়াবার আরও একটি বড় চালান জব্দ করতে সক্ষম হয়। জব্দ করা ইয়াবার মূল্য ১৫ কোটি টাকা। দুটি অভিযানে ২৭ কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা জব্দ করতে সক্ষম হলেও আটক করা যায়নি কোনো গডফাদারকে।
র্যাব অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম ইউসুফ জানান, ইয়াবার সঙ্গে যাদের আটক করা হয়, অনেক সময় তারা নিজেরাও জানেন না এর প্রকৃত গন্তব্য কোথায় এবং মূল মালিক কারা। একাধিক হাতবদল হয়ে এসব ইয়াবা পাচার হয়ে আসে। তবে বড় বড় এসব ইয়াবার চালানের গডফাদারদের চিহ্নিত করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে। কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। মাদক বা ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত যত বড়ই গডফাদার হোক তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে র্যাব অধিনায়ক জানান।