সারা বাংলা

দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘজট

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশজুড়ে কাঁচা পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। এছাড়াও প্রায় আড়াই কিলোমিটার অংশজুড়ে রয়েছে যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘলাইন।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এই মহা যানজটের দুর্ভোগ দৃশ্যমান।

গত ২৭ অক্টোবর রো রো ফেরি শাহ আমানত উল্টে যাওয়ায় পাটুরিয়ার ৫ নং ঘাটটি একেবারেই অকেজো হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে পদ্মার পানি কমার ফলে তীব্র স্রোত এবং রো রো ফেরির জন্য পর্যাপ্ত ঘাট না থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের দৌলতদিয়া প্রান্তে সৃষ্টি হয় যানজটের। এদিকে মাওয়া-বাংলাবাজার  নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ হওয়ায় এই নৌপথে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি ছাড়াও দৌলতদিয়া থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড় ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। মূলত ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে যানবাহনের চাপ কমানোর জন্য এই আঞ্চলিক মহাসড়কে গাড়িগুলোকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে কুষ্টিয়া থেকে আসা এসবি সুপার ডিলাক্সের যাত্রী সুমি বললেন, যানজটে বসে থাকাটা খুবই অসহ্যের। অনেকটা সময় এই যানজটে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ঝিনাইদহ থেকে আসা রূপা বলেন, ঝিনাইদহ থেকে খুব ভোরে রওনা দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ঢাকায় আজকের কাজ সেরে আজই ফিরে আসবো। কিন্তু সেটা মনে হয় আর সম্ভব হবে না।

পণ্যবাহী ট্রাকের চালক মাসুম বলেন, এইভাবে আর কত দীর্ঘসময় যানজটে আটকে থাকতে হবে কে জানে! কখন বা কবে ফেরিতো উঠতে পারবো, জানা নাই। আর আমাদের ভোগান্তির তো কোন শেষই নেই। এই যানজটে আমাদের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।

ট্রাকচালক সিরাজ বলেন, আমরা কখন আমাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারব জানি না। আর এভাবে এইখানে আটকে থাকা আমাদের ক্লান্তি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, এই নৌরুটে বাড়তি চাপ সামাল দিতে হচ্ছে। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। এছাড়া আপনারা তো জানেনই একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।