সারাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এতে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্তে সকাল হতে মহাসড়কে কোনো ধরনের দূরপাল্লার ও আঞ্চলিক যানবাহন চলছে না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে কোনো যানবাহন চলছে না। এতে সাধারণ মানুষসহ চাকরির পরীক্ষা দিতে বের হওয়া মানুষের ভোগান্তি ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
গাজীপুরের বিভিন্ন মহাসড়কে দেখা যায়, ধর্মঘট শুরু হওয়ায় কোনো বাস চলছে না। তবে রাতে যেসকল গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করেছে। সেইসব গাড়ি ফিরতে দেখা গেলেও কোনো যাত্রী নিচ্ছে না। এতে শত শত সাধারণ মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিশেষ কাজে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে সিএনজি ও মোটরসাইকেলে অনেকেই যাচ্ছে গন্তব্যে।
টাঙ্গাইলের বাসাইল থেকে ঢাকায় চাকরি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বের হয়েছেন রুবেল। তিনি বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে চন্দ্রায় দাঁড়িয়ে আছি। একটিও গাড়ি চলছে না। এদিকে আমার পরীক্ষা সকাল ১০টায়। কিন্তু আজ আর পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না। এখন বাড়িতে ফিরে যাওয়ার বাসও পাওয়া যাচ্ছে না।’
আরেক পরীক্ষার্থী তামান্না তাবাসসুম। তিনি বলেন, ‘আজ আমার ৩টা পরীক্ষা। কিন্তু গাড়ি চলছে না। এতো প্রতীক্ষার পরীক্ষা ও প্রিপারেশন সব পরিবহন ধর্মঘাটে শেষ হয়ে যাবে। অপেক্ষায় আছি যদি কোনো গাড়ি পাই, তবে অন্তত বিকেলের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবো।’ তামান্নার মতো অনেকেইর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পরীক্ষার উদ্দেশ্য বের হয়ে রাস্তায় আটকে আছেন।
বগুড়াগামী এক বাসচালক আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমরা ফিরে যাচ্ছি তবে কোনো যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না। গাড়ি বগুড়া ফিরে যাচ্ছি কিন্তু সেখান হতে আর গাড়ি ছাড়বো না। আমাদের মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত যেটা ওটাই মেনে চলবো।’