মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন।
রোববার (৭ নভেম্বর) সকালে র্যাব ৯ এর শ্রীমঙ্গল ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার বসু দত্ত চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন—তোফায়েল মিয়া (৩৫)। আরেক জন শহিদ মিয়া। তারা কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের পরিচয় কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)ইয়ারদৌস হাসান রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।
কমান্ডার বসু দত্ত চাকমা জানান, ভোর রাতে শ্রীমঙ্গলের মিরতিঙ্গা চা বাগান এলাকায় র্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে একদল দুর্বৃত্ত গুলি চালালে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ওই দুইজন নিহত হন।
শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯ এর স্কোয়াড কমান্ডার সুমেন মজুমদার জানান, সেসময় ৩ র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা বাসায় ফিরেছেন।
শ্রীমঙ্গল থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম অর রশীদ তালুকদার জানান, নিহত ২ জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চৈত্রঘাটে গত ৩১ অক্টোবর সন্ত্রাসীরা একটি মাইক্রোবাসে এসে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেটের উইম্যান্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুল মারা যান।
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে নাজমুল জানিয়েছিলেন, হামলাকারীদের মধ্যে চারজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। তারা হলেন— স্থানীয় তোফায়েল, রাসেল, মাসুদ ও তোফাজ্জল।
নাজমুলের মৃত্যুর পর তার বড় ভাই শামছুল হক তোফাজ্জলকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ১৮ জনের নামে মামলা করেন।
এ ঘটনার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি)টিভি ক্যামেরার ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ফুটেজে দেখা যায়, কালো একটি মাইক্রোবাসে আসা ৯ ব্যক্তি নাজমুলকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে নিজ বাড়ির সামনে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাজমুল। তখন নাজমুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা।