খুলনায় ‘বীর নিবাস’ পাচ্ছেন ১২জন মৃত মুক্তিযোদ্ধার অস্বচ্ছল পরিবার। দিঘলিয়া উপজেলায় সরকারিভাবে এ বাসস্থান তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ টাকা। এর মধ্যে কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। মেসার্স জামাল ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর নির্মান কাজ পেয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটিকে ইতিমধ্যে কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ‘বীর নিবাস’ নির্মাণের খবরে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। পর্যায়ক্রমে সরকার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সমস্যা দূরীকরণের জন্য ‘বীর নিবাস’ তৈরি করে দেওয়া হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার সারাদেশে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা পাঠানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দেন।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন প্রকল্প নির্মাণের সিলেকশন কমিটির সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম গত অক্টোবর মাসে ১৮ জনের নামের প্রস্তাবনা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পাঠান। ১৮ জনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ১২ জনের নাম অনুমোদন করে।
‘বীর নিবাস’র জন্য চূড়ান্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আ. লতিফ, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মন্টু বিশ্বাস, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হায়দার আলী, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজির আহমেদ, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর ইসলাম সরদার, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মঞ্জুরুল আলম, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজাহার আলী, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কায়সেদ শেখ, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল জব্বার, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জালাল উদ্দিন ও মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সাহেব আলী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় মৃত ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য আবাসনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কেটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ টাকা। প্রতিটি আবাসন নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ টাকা। আবাসন নির্মাণের পর এসব ঘরের নাম দেওয়া হবে ‘বীর নিবাস’। ঘরগুলো নির্মাণের জন্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস করা হয়। ১১ অক্টোবর দরপত্র গ্রহণের শেষ দিনে মোট ৭৭ জন ঠিকাদার অংশ নেন। পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে মেসার্স জামাল ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। ৪ নভেম্বর উপজেলা পিআইও অফিস থেকে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়।